Sunday, 31 May 2015

রাসুলের (সাঃ) ওয়ারিস ফাতেমা (সা.আ.) ও ফেদাকের কাহিনী

0 Comments

মুহাম্মদের (দঃ) মেয়ে ফাতিমা (আঃ) ও তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ) মুহাম্মদের (দঃ) মালিকানায়, মদিনা ও খায়বারে রক্ষিত কিছু সম্পত্তি দাবি করায় এ নিয়ে আবুবকরের সাথে তাদের মনোমালিন্য দেখা দেয়। ঘটনা টি এইরকম; ‘আবু বকর (রাঃ) ‘বাগে ফেদাক’ রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেন। রাসুল (সাঃ) ইহা দান করেছিলেন তাঁহার কন্যা ফাতেমা (রাঃ) কে। তিনি স্বয়ং আবু বকরের (রাঃ) কাছে মসজিদে নাববিতে হাজির হন। খলীফা তখন সপরিষদ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত করবার কারন জিজ্ঞাসা করলে খলিফা উত্তর দেনঃ নবীগণের কোন উত্তারাধিকারী হয় না, উম্মতগনই নবীর সকল সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে” ইহাতে নবী কন্যা বলেঃ “আবু বকর, তুমি কি কোরআন পড় নি? ইহা তে কি লেখা নাই যে, সোলায়মান নবী তাঁর পিতা দাউদ নবীর সকল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিল”? তার জবাবে আবু বকর বলে, রাসুল(সাঃ) আমাকে বলেছে যে তাঁর কোন উত্তরাধিকারী হবে না”। নবী কন্যা বললেন “ইহা মিথ্যা কথা” এই বলে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন। নবীদের কোন উত্তরাধিকারী না হবার কথা হাদিসেও আছে। এ অবস্থায় আমরা কোনটি সত্য বলে ধরে নেব?
এই বাগান শুধু মৌখিক নয়, রাসুল (সাঃ) তাঁর কন্যা কে দান করেছিলেন। এই দানপাত্রে দাতা রাসুল (সাঃ) গ্রহীতা তাঁহার কন্যা, ইহার লেখক আলী (আঃ) এবং সাক্ষী তাদের দুই নাবালক পুত্র ইমাম হাসান ও হোসাইন (আঃ)।
রাসুল(সাঃ) তিরধনের পর ফাতেমা (আঃ) বেশী দিন জীবিত ছিলেন না। কথিত আছে, বাগানের এই ঘটনার পর হতে যখনই আবু বকর নবী কন্যার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতেন তখনই তিনি নবীর কন্যাকে “সালামুন আলাইকে ইয়া বিনতে রসুলাল্লাহ” বলে সালাম দিতেন, কিন্তু নবী কন্যা কখনও তাহার সালামের জবাব দিতেন না।(মাওলার অভিষেক ও ইসলাম ধর্মে মতভেদের কারন, সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতী, পৃষ্ঠা- ১২৫/১২৬)  
               
 
রাসুল (সাঃ) তাঁর কন্যাকে ফদক নামক যে জায়গা দান করেছিলেন তার ইতিহাস বর্ণনা ও তিনটি প্রশ্নের উত্তর।
১) আবু বকর বলেছেন রাসুল (সাঃ) নাকি তাকে বলেছেন, “নবীদের পরিত্যক্ত সম্পদ তাঁদের ওয়ারিশগন প্রাপ্য হন না। এরকম অযৌক্তিক উক্তি রাসুলের (সাঃ) নামে চালিয়ে দিয়ে যে বিধির প্রচলন করতে চেয়েছেন তা বাতিল করাআবু বকরের পর তার এ নিয়ম পরবর্তী দুজন খলিফা উমার ও উসমান কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং উমাইয়া ও আব্বাসিয়া রাজা কর্তৃক ও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আবু বকরের খেলাফতের বৈধতা ও সঠিকটা এবং তার কর্মকাণ্ডের ওপরই পরবর্তীগণের খেলাফতের বৈধতা ও ন্যায্যতা সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করে।   
২) মওলা আলো (আঃ) ও ফাতিমা (আঃ) এর বংশধরগন তাদের দাবির ন্যায্যতা, বৈধতা ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে কোনরুপ দ্বিধাবোধ করেনি। তাঁরা সব সময়ই সুনিশ্চিত ছিলেন যে ফাতিমার ন্যায়সঙ্গত অধিকার আবু বকর কেড়ে নিয়েছে এবং তাঁর বৈধ দাবি আবু বকর প্রত্যাখ্যান করেছে। কারন ফাতিমা (আঃ) কোন কিছুর জন্য মিথ্যা দাবি উত্থাপন করতে পারেন না। যদি কেউ বলে যে, ফাতিমা (আঃ) এর দাবি মিথ্যা তবে নিশ্চয় মনে করতে হবে সেই মিথ্যাবাদী।
৩) যখনই কোন খলিফা আল্লাহ্‌র আদেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ন্যায় বিচার করেছে এবং ইসলামিক বিধানকে স্মুন্নত করার চিন্তা করেছে, তাঁরা ফাতিমা (আঃ) এর বংশধরকে ফদক ফিরিয়ে দিয়েছেন।
১; উমার ইবনে খাত্তাব ছিলেন তাদের মধ্যে প্রথম সারির লোক যারা ফাতিমা (আঃ) কে তাঁর উত্তরাধিকার ও ফদক থেকে বঞ্চিত করার কাজে লিপ্ত ছিলেন। উমার নিজেই বলেছেন, “যখন রাসুল(সাঃ) তিরধন ঘটল তাঁর পর আমি আবু বকর কে সাথে নিয়ে আলী (আঃ) এর কাছে গিয়ে বললাম রাসুল (সাঃ) এর পরিত্যক্ত বিষয় সম্পত্তি সম্বন্ধে আপনি কি করবেন বলে ভেবেছেন? আলী (আঃ) বললেন রাসুল (সাঃ) এর সব কিছুর একমাত্র উত্তরাধিকারী একমাত্র আমরা। তখন আমি বললাম খাইবারের সম্পত্তিতেও? তিনি বললেন, জি। আমি বললাম ফদকেও? তিনি বললেন জি ফদকেও। তখন আমি বললাম, আল্লাহ্‌র কসম, আমরা তা হতে দেব না। আপনি যদি করাত দিয়ে আমাদের কেটে ফেলেন তবুও আমরা এসব আপনাকে দিব না”।
ফদকের দলিল উমার ফাতেমা (আঃ) এর হাত থেকে নিয়ে ছিড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু উমার যে সময় খেলাফতের দায়িত্ব নেন তিনি ফেদক আলী (আঃ) কে ফেরত দেন। প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক ইয়াকুত হামাবি লিখেছেনঃ

“উমর ইবনে খাত্তাব খলিফা হবার পর যখন বিজয় লাভ করেন এবং মুসলমানরা মোটামুটি সম্পদশালী হয়ে উঠলো এবং বায়তুল মাল জনগণের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হল তখন তিনি তার পূর্ববর্তী খলিফার সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিলেন যে ফদক রাসুল (সাঃ) এর উত্তরাধিকারীদের হাতে ফেরত দেয়া হলআবার আলী (আঃ) সাথে আব্বাস ইবনে আবদাল মুত্তালিব ফদক নিয়ে বিরোধ করল। আলী (আঃ) বলেন যে রাসুল (সাঃ) তাঁর জীবদ্দশাতেই ফাতেমা(আঃ) কে ফদক ডান করে দিয়েছিলেন। আব্বাস তা অস্বীকার করে বলেন ফদক রাসুল (সাঃ) এর দখলে ছিল এবং আমি তাঁর উত্তরাধিকারিদের মধ্যে একজন। তাঁরা বিষয় টি নিষ্পত্তির জন্য উমারের শরণাপন্ন হল। কিন্তু উমার বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা উভয়ে আমার চেয়ে আপনাদের সমস্যা সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন। আমি শুধু ফদক দিলাম। আপনাদের সমস্যা আপনারা নিষ্পত্তি করুন”।
এই ইতিহাস থেকে বুঝা যায় যে, আবু বকর ও উমার কোন ধর্মীয় কারনে ফদক থেকে ফাতিমা কে বঞ্চিত করে তা আত্মসাৎ করেন নি। শুধু মাত্র রাজনিতিক ও অর্থনীতিক অবস্থার কারনে তারা এটা করেছেন। যখন খেলাফতে তাদের আসন শক্তিশালী হয়েছে তখনই উমার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফদক ফেরত দেয়ার রায় দিয়েছেন। মওলা আলী (আঃ) কে অর্থনীতিক ভাবে অসচ্ছল রাখতে পারলে খেলাফত কিছুটা নির্বিঘ্ন থাকবে বলে তারা এমন করেছেন। বাস্তবে হয়েছে ও তাই।
উমারের পর ওসমান ইবনে আফফান খলিফা হলে তিনি তার চাচাত ভাই মারওয়ান ইবনে হাকামকে ফদক দিয়েদেন। ওসমানের এহেন স্বজন প্রীতিই তার জনগণের প্রতি কঠোর মনোভাবের অন্যতম কারন যা তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এভাবে ফদক মারোওয়ানের দখলে চলে যায়। সে তার ফসল ও উৎপন্ন দ্রব্য বার্ষিক দশ হাজার দিনার ঠিকা চুক্তিতে বিক্রি করত। উমার ইবনে আবদাল আজিজের খেলাফতের পূর্ব পর্যন্ত এটাই ছিল ফদকের স্বাভাবিক আয়।

যখন মুয়াবিয়া ইবনে সুফিয়ান খেলাফত দখল করলে সে মারয়ানের সাথে অন্যান্যদের ফদকের অংশীদার করে। সে এক তৃতীয়াংশ মারোওয়ান কে, এক তৃতীয়াংশ ওসমান ইবনে আফফান কে,এক তৃতীয়াংশ তার পুত্র ইয়াজিদ কে দিত। হাসান ইবনে আলী কে হত্যা করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাসুল (সাঃ) এর আহালে বায়াতের প্রধান তিন বিরোধির দখলে মারোওয়ান খলিফা হবার পর তার পুত্র আবদাল মালিক ও আবদাল আজিজ কে ফদক দান করে দেন।
যখন উমার ইবনে আবদাল আজিজ খলিফা হলেন, তিনি একটা বক্তৃতা দিয়ে বললেন, “নিশ্চয়, ফদক ওই সব জিনিসের অন্তর্ভুক্ত যা আল্লাহ্‌ তাঁর রাসুল কে দান করেছিলেন। ফদকের জন্য কোন লোক কে যুদ্ধ করতে হয়নি, কোন ঘোড়া বা উঠ পরিচালিত হয় নি”। তিনি ফদকের ইতিহাস বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, মারোওয়ান আমার পিতা ও আবদাল মালিক কে ফদক দিয়েছে, ফলে এটা আমার ওয়ালিদ ও সুলায়মানের হয়েছে। যখন ওয়ালিদ খলিফা হয় তখন সে তার অংশ আমাকে দিয়েছে এবং সুলায়মান ও তার অংশ আমাকে দিয়েছে, ফলে সম্পূর্ণ ফদকের মালিক আমি। আমার কাছে ফদক অপেক্ষা পছন্দিয় আর কোন সম্পদ নেই। তবু তোমরা সাক্ষী থাক, আমি প্রকৃত মালিক কে ফদক ফিরিয়ে দিলাম। এরপর তিনি মদিনার গভর্নর আবু বকর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আমর ইবনে হাজমকে লিখিত ভাবে আদেশ দিলেন ফদক যেন ফাতিমা (আঃ) এর বংশধরদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। এটাই ছিল আলীর(আঃ) সন্তানদের দখলে প্রথমবারের মতো ফদক ছেড়ে দেয়া।
ইয়াজিদ ইবনে আবদাল মালিক খলিফা হলে সে আলীর সন্তানদেরকে বেদখল করে পুনরায় ফদক আত্মসাৎ করে। এরপর হতে ফদক বনি মারওয়ানের দখলে রয়ে গেল যে পর্যন্ত না বনি আব্বাস ক্ষমতা দখল করে।
যখন আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ সাফফা প্রথম আব্বাসিয়া খলিফা হলে তখন তিনি ফাতিমার বংশধরদের ফদক ফিরিয়ে দেন।
যখন আবু জাফর আবদুল্লাহ আল-মনসুর আদ দাওয়ানিকি খলিফা হলে তিনি আলী (আঃ) এর সন্তানদের কাছে থেকে ফদক কেড়ে নিয়ে নেন।
যখন মুহাম্মদ মাহাদি ইবনে মনসুর খলিফা হলেন তিনি ফাতিমার সন্তানদের কাছে ফদক ফেরত দিলেন।
যখন মুসা হাদি ইবনে মাহাদি এবং তার ভ্রাতা হারুন-অর- রসিদ ফাতেমার (আঃ) সন্তানের কাছে থেকে ফদক কেড়ে নিয়ে নেন। মামুন খলিফা হওয়া পর্যন্ত ফদক আব্বাসিয়াদের দখলে ছিল।
মামুন খলিফা হবার পর ফাতিমার বংশধরদের কাছে ফদক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। মাহদি ইবনে আস-সাবিক লিখেছেনঃ
একদিন মামুন জনগণের নালিস শুনতে এবং মামলার রায় প্রদান করতে বসেছিলেন। তার কাছে উপস্থিত প্রথম নালিশটির প্রতি তাকিয়ে তিনি কেঁদে ফেললেন। তিনি জিজ্ঞাস করলেন রাসুলের (সাঃ) কন্যা ফাতিমার এ্যাটর্নি কোথায়? একজন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে এগিয়ে এলেন এবং ফদক সম্পর্কে যুক্তি তর্ক পেশ করলেন। মামুন ও তার যুক্তি তর্ক ব্যক্ত করলেন। কিন্তু তার বৃদ্ধের যুক্তি অনেক জোরালো ছিল।
মামুন তখন ইসলামি ফকিদের তলব করলেন এবং ফাতিমি বংশের দাবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বর্ণনা দিল যে, রাসুল (সাঃ) ফাতিমাকে ফদক দান করেছিলেন। রাসুল(সাঃ) তিরধনের পর ফাতিমা আবু বকরের কাছে ফদক দাবি করেছিলেন। আবুবকর তার দাবির পক্ষে সাক্ষী হাজির করার জন্য বললে আলী (আঃ), হাসান, হোসাইন ও উম্মে আয়মন ফাতেমার দাবির সত্যতা স্বীকার করে সাক্ষ্য দেন। আবু বকর তাদের সাক্ষী বাতিল করে দেন। মামুন ফকিদেরকে প্রশ্ন করলেন, উম্মে আয়মন সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? তারা সকলে এক বাক্যে বলল, তিনি এমন এক জন মহিলা যার বেহেস্ত বাসী হবার ঘোষণা রাসুল (সাঃ) নিজে দিয়ে গেছেন। তখন মামুন ফকিদের বললেন, “আলী (আঃ), হাসান, হোসাইন ও উম্মে আয়মনের সাক্ষ্য শুধু সত্য ছাড়া অন্য কিছু এমন প্রমান কি তোমাদের মধ্যে কেউ উপস্থাপন করতে পারবে? তারা সর্বসম্মতিক্রমে বলল এমন প্রমান উপস্থাপন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর তিনি ফদক ফাতিমার বংশধরদের ফিরিয়ে দিলেন। এবং মদিনার গভর্নর কুছম ইবনে জাফরকে ফদক ফাতিমার বংশধরদের রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
এভাবে মামুনের খেলাফত থেকে মুনতাসিম ও ওয়াসিকের খেলাফতের সময় পর্যন্ত ফদক ফাতেমি বংশধরদের দখলে ছিল।
এর পর জাফর আল মুতাওয়াক্কিল খলিফা হলে সে পুনরায় আহালে আল বায়াতের কাছে থেকে ফদক ছিনিয়ে নেন। আহালে আল বায়াতের জীবিত বা মৃত শত্রুদের মধ্যে মুতাওয়াক্কিল ছিল সব চেয়ে শয়তানী ভরা শত্রু। ফদকে ১১টি খেজুরের গাছ ছিল যা রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে লাগিয়েছিলেন, যার ফল আবু তালিবের বংশধরেরা সংগ্রহ করত ও হজ্জের সময় মানুষদের খাওয়াত। বিনিময়ে হাজীগন অনেক কিছু দিত। এ খবর শুনে মুতাওয়াক্কিল গাছ গুলি কেটে ফেলেন ও তা থেকে মদ তৈরি করা হয়। কিন্তু এ মদ বসরার পথে থাকা কালে মুতাওয়াক্কিল নিহত হয়। মুতাওয়াক্কিলের পর মুনতাসির খলিফা হলে ফদক আহালে আল বায়াতকে ফেরত দেন।
মুনতাসিরের করুন মৃত্যুর পর ফদক আবার কেড়ে নেয়া হয়। আল- মুতাদিদ তা ফিরিয়ে দেন। মুক্তাফি আবার ফদক নিয়ে নেন। এরপর মুখতাদির ফদক ফিরিয়ে দেন। এরপর ফদকের ইতিহাস তেমন পাওয়া যায় না। (“নাহাজ-আল-বালঘা” আলী (আঃ) পত্র- ৪৫, পৃষ্ঠা- ৩৬৩-৩৭৫)। 

No comments:

Post a Comment

 
back to top