"
পাক-পাঞ্জাতনের
মাহাত্ম্য উপলব্ধি করারপর আমার মনে প্রশ্ন জাগে আলী (আঃ), ফাতেমা, হাসান, হোসেন
(আঃ), তাঁদের চর্চা মুসলিম সমাজে এত কম কেনো ? মহান
আল্লাহ যাঁদের পাক পবিত্র করেদিয়েছেন ( পোস্টকারীঃ পবিত্র আল কোরআনের আয়াত অনুযায়ী
" আল্লাহ তো কেবল চান পাক পবিত্র রাখতে " অনেকঅনুবাদক 'পাক
পবিত্র করতে' অনুবাদ করে থাকেন, 'পাক পবিত্র' করা
আর 'পাক পবিত্র' রাখা দুই টার ব্যাবধান
অনেক, আমি বলতে চাই ' কোন অপবিত্রতা পাক
পাঞ্জাতন কে স্পর্শকতে পারবে না, এবং আপনাদের বুঝার জন্য
বলছি অপবিত্র কে পবিত্র করাহয়, পবিত্র কে অপবিত্রতা
থেকে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে, যেমন সুরা জুমুয়া তে
বলা আছে তিনি(রাসুল সাঃ) প্রেরিত হয়েছেন আমাদের নাফস কে পাক ও পবিত্র করতে )
তাঁদের প্রতিভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চান না, যাঁরা কোরআনে ঘোষিত
একমাত্র কাউসার দাতা, তাঁদের প্রতি মুসলিম সমাজের এত অবহেলা কেন ?মক্তব, মাদ্রাসায়, ধর্মীয়
জলসায়, তাফসির মাহফিল এ তাঁদের বয়ান নেই কেন ?নবী-
বংশের বিরুদ্ধে যে সকল সাহাবী চক্রান্ত করেছে, পাক- পাঞ্জাতনের
প্রতিটি সদস্যের সাথে নিষ্ঠুর আচরন করেছে এবং তাঁদের তিলে তিলে ধ্বংস করেছে, তাঁদের
সন্মান বৃদ্ধি করার জন্য আলেম সমাজের এত প্রয়াস কেনো ? আলী
(আঃ), ফাতেমা, হাসান, হোসেন
(আঃ) , কে নিয়ে যাঁরা ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাঁদের জন্যফতোয়া আসে
শিয়া । আমি বলি তাঁরা যদি শিয়া হন তাহলে কি আল্লাহ্র নবী মোহাম্মদ(সাঃ) ও শিয়া ? নবী
যখন আল্লাহ হতে তখন আল্লাহও কি শিয়া ? শিয়া শব্দটির অর্থ যে
অনুসারী এ কথাওহয়তো তাঁরা বুঝতে চান না । এ বিভ্রান্তির কিছুটা অবসান করার জন্য
পাক- পাঞ্জাতনকি এবং এর গুরুত্ব, মাহাত্ম্য সম্পর্কে
সহৃদয় পাঠকদের সামনে কিছু বলার অভিলাষ রাখি । শিয়া, সুন্নি
কি তা জানার পূর্বে পাক- পাঞ্জাতনকে জানতে হবে । ইতিহাসের আলোকে আমরা যেভাবে
তাঁদেরকে জানি এবং মানি তাঁরা আমাদেরজানা এবং মানার আরও অনেক উর্ধে । মুসলমানদের
ধর্মান্ধতা, অজ্ঞতা, অহমিকার জন্য বৈজ্ঞানিক
বিশ্লেষণধর্মী চর্চা আজবিলুপ্তপ্রায় । তথাকথিত মুসলমান পন্ডিত ও ইতিহাসবেত্তাগণ
লু-হাওয়ার মধ্যে বালিতেমুখ গুঁজে থাকা উটের মত চোখ, কান, মন
বন্ধ রেখে ইতিহাসচর্চা করে চলছেন । এলমে মারেফতের শিক্ষা তো দূরেথাকুক, ইতিহাসের
আসল সত্য কথা জানা বা বলার উপায় নেই । অথচ আল্লাহপাকবলেছেন- " যা সত্য তাই
গ্রহন করো, মিথ্যাকে বর্জন করো । মিথ্যার সাথেসত্যকে মিশ্রিত করো না
।" এর পরও কেউ সত্যকেপ্রকাশ করতে চাইলে এক শ্রেনীর আরবি পন্ডিত লেখকের টুঁটি
চেপে ধরবে বা প্রকাশিতবইটি বাজেয়াপ্ত করাবে । আল্লাহ রাসুলের নির্দেশিত আদর্শ
চরিত্রের অনুসরন ওঅনুশীলন বিসমিল্লাহতেই ত্যাগ করায় এবং তদস্থলে ত্রুটিপূর্ণ
নিন্মতর চরিত্রকেআদর্শরূপে গ্রহন করায় এমন বিভ্রান্তির দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে যে,আজাজিল
সাহেব তাদের চোখ ও হৃদয় মোহর-বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছে । ইতিহাসের সত্যিকার মানদণ্ডে
তাদেরচরিত্রকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে । সেই চরিত্রটি কোনো নীতি ও ধর্মের
বিচারেলোকটির কার্যকলাপ বিচার করতে হবে । আমাদের ইসলাম ধর্মের প্রাথমিককালেজনপ্রয়তার
প্রকটতায় মওলা আলী (আঃ) এর সময়ই কারা মোমিন এবং কারা মোনাফিক তাকাচের মতো স্বচ্ছ
হয়ে ধরা পড়ে গেছে । তবুও মোমিন এবং মোনাফিকের লাবড়া পাকিয়ে অনাগতকালের মুসলিম
ভাইদের পাতে দেওয়ার জন্য তৈরী করে রাখা হয়েছে অমৃতনামের বিষ । ইসলামের প্রায়
প্রতিটি অনুষ্ঠানে, দরবারে, জলসায়, মাদ্রাসায়, তাফসির
মাহফিল এ সেই অমৃত নামের বিষ পান করেচলেছি, যার ফলশ্রুতিতে ইসলাম
আজ তিন কুড়ি তের টুকরায় বিভক্ত হয়েছে ।
আরও
একটি কারনহলো আল্লাহ রাসুল নবী বংশকে মুসলমানের কাছে আমানত রেখেছেন, শুধু
আমানত নয় তাঁদের ভালোবাসাতেও সনির্বন্ধ অনুরোধ ও হুকুম জারি করেছেন । " নবীর
আহলে বায়েত ও আলকোরআন কখনও একে অপরকে ছাড়বে না ।" (তিরমিজি) । অতএব, তাঁরা
ব্যতীত আর কেউ কারো অনুসরনীয় নয় । এঁদের মুখাপেক্ষীথাকতে হবে । এঁদের প্রতি
সালাতের চূড়ান্ত অংশে দুরুদ ভেজা বিধিবদ্ধ তাসত্বেও মুসলমানেরা তাঁদেরকে একে একে
নিঃশেষ করে দিয়েছে এবং চরম বিরোধিতাকরেছে । আহলে বায়েতের রশি কে ছেড়ে দেয়ার ফলে
তিয়াত্তর ফেরকার সৃষ্টিহয়েছে । রাসুল বংশের বিপক্ষীয় লোকেরা রাসুলের আহলে বায়েতের
শ্রেষ্ঠত্বজাতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য রাজশক্তি কোরআনের বিশেষ বিশেষ সংজ্ঞা
ওশব্দার্থের ব্যাতিক্রম ঘটিয়েছে । ইমাম বাকের (আঃ) বলেছেন, তিন
শতেরও উপর কোরআনের বাক্য 'তাহরিফ' অর্থাৎ বদল করা হয়েছে, যা
রাসুলের আহলে বায়েতের শানে ছিলো ।তাঁদের মধ্যে ইমাম নেসাঈ একশো পঞ্চাশটা দেখিয়েছেন
। সিরাতুন্নবীঅর্থাৎ নবীর চারিত্রিক ও গুণরাজি যেসব বাক্যে উল্লিখিত ছিল তাদের
মধ্য হতেএকশো চৌদ্দটি বাক্য বদল করা হয়েছে । এই শ্রেনীর বাক্যে অনেকগুলো ইবনে
কাছিরতাঁর তফসিরে টীকাতে প্রকাশ করেছেন- কি ছিল এবং তার স্থলে
কি আছে তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন । একটিসত্যকে ঢেকে রাখার জন্য সত্য হাদিসের পাশাপাশি বহু মিথ্যা হাদিস রচনা করে রাসুলের সুন্নাহ কে একেবারে কলুষিত ও ঝাপসা করে রেখেছে যা শোধন করে, নতুন করে ঘোষণা করা এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার । নবীকে আমাদের মতো মানুষ মনে করাকুফরী । কোরআনের ব্যাখ্যায় এবং যেসব হাদিসে রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে আমাদের মতো মানুষরূপে অংকিত করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি মিথ্যা হাদিস এবংকোরআনের সেইসব অংশের ব্যাখ্যা গুলোও মিথ্যা রচনা । এসব মিথ্যা রাজশক্তিকর্তৃক রচিত মিথ্যা । কোনো জাতির মধ্যেই মোমিনগণ তাঁদের নবীকে তাঁদের মতো মানুষমনে করেনি । কেবল কাফেররাই নবীকে তাঁদের মতো মানুষ মনে করেছে । একটিজলজ্যান্ত উদাহরণ দিচ্ছি- প্রতিদিন রেডিও, টেলিভিশনে আজানের যে মোনাজাতটিপ্রচারিত হয় সেখানে বলা হয়, " এই পবিত্র আহ্বান এবং এই নামাজের তুমিই প্রভু । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে দান করো সর্বোচ্চ সন্মানিত স্থান, সুমহান মর্যাদা, এবং বেহেশতের শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থান (মোকামে মাহমুদায় ) তাঁকে অধিষ্ঠিত করো যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ,নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করো না ওয়াদা।" এখানে কি নবী পাকের শান- মর্যাদাকে খাটো করা হয়নি ? আমাদের মতো
নাখাস্তা পাপী মানুষেরা প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত আজানের সময় আল্লাহ্র কাছে মোনাজাত করছি - হে আল্লাহ, রসূলের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও ।রসূলের মর্যাদা কি কোনো দিক দিয়ে ক আছে ? সারা বিশ্বের মানবজাতি যদি রসুলকে নামানে তাঁর মর্যাদা কি কোন দিক দিয়ে কমে যাবে ? আলাহ যাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করে সৃষ্টিতে পাঠিয়েছেন, তাঁর আবার নতুন করে মর্যাদা বৃদ্ধির কী হলো ? তাও আবার পাপী বান্দাদের দ্বারা, এগুলো কোন ধরনের ভীমরতি ? তোমার ওয়াদামতো মোকামে মাহমুদায় পৌঁছাও । আমরা প্রতিদিন দোয়া করছি আল্লাহ্র কাছেরসুল (সাঃ) কে মোকামে মাহমুদায় অধিষ্ঠিত করার জন্য । মোনাজাতের অর্থ অনুযায়ী দেখা যায় যিনি এখনও মোকামে মাহমুদাতেই অধিষ্ঠিত হতে পারেননি, তিনি কিভাবে তাঁর উম্মতকে শাফায়াত করবেন ? (নাউযুবিল্লাহ ! ) । এজিদের পা-চাটাদোসর কর্তৃক এই মোনাজাত রচিত হয়েছে । এরকম বহু ইচ্ছাকৃত ভুল নবী ও নবীবংশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা করে রেখেছে । যেখানে আল্লাহপাক বলেছেন-" লা- ওলাকা লাম্মা, খালাকতুল আফলাক ওলাম্মা আজহারতুর রবুবিয়াতা। " তোমাকে নবী(সাঃ) প্রকাশ না করলে আমি আসমানসমূহসৃষ্টি করতাম না । যিনি রহমতুল্লিল আলআমিন, সমগ্র আলমের জন্য রহমতস্বরুপ । যাঁর
শাফায়াত ব্যাতীত কারো মুক্তি নেই । যার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছে মোকামে মাহমুদা অর্থাৎ প্রশংসিত মোকাম । যিনি খোদ মালিক ঐ প্রশংসিত মোকামের । যিনি আল্লাহ্র সঙ্গে একই গুনে গুণান্বিত, আওয়ালে, আখেরে, জাহেরে, বাতেনে । যেখানে আল্লাহ সর্বগুণের উৎস আর রসুল হলেন সকল গুনের অধিকারী, যেখানে আল্লাহ-রসুলের দূরত্ব দুই ধনুকের ব্যবধান ( অর্থাৎ বৃত্ত ) নিকটে অথবা আরো নিকটেবলা হয়েছে, আল্লাহ এবং রসূলের কথা যে আলাদা মনে করে সে আমার দলচ্যুত (৪:১৫০:১৫২) । " মাইউতির রসুলাফাকাদ আতা আলাহ " অর্থাৎ যে রসূলের আনুগত্য করল সে আল্লাহ্র আনুগত্য করল । সবনবীদের যিনি সিলমোহরদাতা, সকল জাতির ধর্মগ্রন্থে যে মোহাম্মদের আগমনের কথাউল্লেখ রয়েছে, যাঁর নূর থেকে আমরাসহ আঠার হাজার জগতসমূহ সৃষ্টি হয়েছে,যিনি বলেছেন, " মান রায়ানি ফাকাদ রায়াল হক " যে আমাকে দেখেছে সে আল্লাহকে দর্শন করেছে ; যেখানে মৌলিকভাবে মোহাম্মদ (সাঃ) এবং আলে মোহাম্মদের উপর আত্মসমর্পণথাকতে হবে (৪২:২৩) । সেই মোহাম্মদ (সাঃ) কে সাধারণ হিসাবেচিহ্নিত করা হয়েছে, ভুল-ভ্রান্তির অধীন করা হয়েছে । রসুলকে যদি সাধারণ মানুষহিসাবে চিহ্নিত করা যায় তবে নবী-বংশের গুরুত্ব
কমে যাবে । সে জন্যই রসুল সহ পাক-পাঞ্জাতনের সদস্যদের উপর রাজশক্তি কর্তৃক কিরূপ অত্যাচার,অবিচার ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে তাঁর মোটামুটি একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বিজ্ঞ পাঠকদের সামনে । উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হৃদয় দিয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করবেন । যেজাতি তাঁর নবীকে উচ্চাসনে বসাতে জানে না, নবীর মর্যাদা দিতে জানে না, নবীর মাহাত্ম্য ভেদ উপলব্ধি করিতে জানে না,নবীকে সাধারণ মানুষ হিসাবে মনে করে,সে জাতির কপালে ইহুদি নাছারাদের লাথি,ঝাঁটা ছাড়া আর কী প্রাপ্য হতে পারে,তাঁর প্রমান তো পেট্রো ডলারেরা দেশেইপাচ্ছেন । ছোট একটা ইহুদী রাষ্ট্র সমগ্র আরব মুসলিম বিশ্বকে নাকানিচুবানিখাওয়াচ্ছে । পাশ্চাত্যের অমুসলিম ঐতিহাসিক ও গবেষক মাইকেল এইচ হার্ট- এর' দি হান্ড্রেড 'নামক গ্রন্থে বৈজ্ঞানিক বিচার- বিশ্লেষণের মানদণ্ডেযাঁর নাম প্রথম স্থান লাভ করেছে সেই মহাপুরুষ জগৎগুরু মোহাম্মদ (সাঃ),এমনকি আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদি প্রফেসর জুলস ম্যাসার ম্যানও " হু আর দি ওয়ার্ল্ডস গ্রেটলিডার্স " নামক নিবন্ধে লিখেছেন, PerhapsThe Greatest Leader Of All Times অর্থাৎ সম্ভবত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগুরুহচ্ছেন মোহাম্মদ (সাঃ)
কি আছে তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন । একটিসত্যকে ঢেকে রাখার জন্য সত্য হাদিসের পাশাপাশি বহু মিথ্যা হাদিস রচনা করে রাসুলের সুন্নাহ কে একেবারে কলুষিত ও ঝাপসা করে রেখেছে যা শোধন করে, নতুন করে ঘোষণা করা এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার । নবীকে আমাদের মতো মানুষ মনে করাকুফরী । কোরআনের ব্যাখ্যায় এবং যেসব হাদিসে রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে আমাদের মতো মানুষরূপে অংকিত করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি মিথ্যা হাদিস এবংকোরআনের সেইসব অংশের ব্যাখ্যা গুলোও মিথ্যা রচনা । এসব মিথ্যা রাজশক্তিকর্তৃক রচিত মিথ্যা । কোনো জাতির মধ্যেই মোমিনগণ তাঁদের নবীকে তাঁদের মতো মানুষমনে করেনি । কেবল কাফেররাই নবীকে তাঁদের মতো মানুষ মনে করেছে । একটিজলজ্যান্ত উদাহরণ দিচ্ছি- প্রতিদিন রেডিও, টেলিভিশনে আজানের যে মোনাজাতটিপ্রচারিত হয় সেখানে বলা হয়, " এই পবিত্র আহ্বান এবং এই নামাজের তুমিই প্রভু । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে দান করো সর্বোচ্চ সন্মানিত স্থান, সুমহান মর্যাদা, এবং বেহেশতের শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থান (মোকামে মাহমুদায় ) তাঁকে অধিষ্ঠিত করো যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ,নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করো না ওয়াদা।" এখানে কি নবী পাকের শান- মর্যাদাকে খাটো করা হয়নি ? আমাদের মতো
নাখাস্তা পাপী মানুষেরা প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত আজানের সময় আল্লাহ্র কাছে মোনাজাত করছি - হে আল্লাহ, রসূলের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও ।রসূলের মর্যাদা কি কোনো দিক দিয়ে ক আছে ? সারা বিশ্বের মানবজাতি যদি রসুলকে নামানে তাঁর মর্যাদা কি কোন দিক দিয়ে কমে যাবে ? আলাহ যাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করে সৃষ্টিতে পাঠিয়েছেন, তাঁর আবার নতুন করে মর্যাদা বৃদ্ধির কী হলো ? তাও আবার পাপী বান্দাদের দ্বারা, এগুলো কোন ধরনের ভীমরতি ? তোমার ওয়াদামতো মোকামে মাহমুদায় পৌঁছাও । আমরা প্রতিদিন দোয়া করছি আল্লাহ্র কাছেরসুল (সাঃ) কে মোকামে মাহমুদায় অধিষ্ঠিত করার জন্য । মোনাজাতের অর্থ অনুযায়ী দেখা যায় যিনি এখনও মোকামে মাহমুদাতেই অধিষ্ঠিত হতে পারেননি, তিনি কিভাবে তাঁর উম্মতকে শাফায়াত করবেন ? (নাউযুবিল্লাহ ! ) । এজিদের পা-চাটাদোসর কর্তৃক এই মোনাজাত রচিত হয়েছে । এরকম বহু ইচ্ছাকৃত ভুল নবী ও নবীবংশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা করে রেখেছে । যেখানে আল্লাহপাক বলেছেন-" লা- ওলাকা লাম্মা, খালাকতুল আফলাক ওলাম্মা আজহারতুর রবুবিয়াতা। " তোমাকে নবী(সাঃ) প্রকাশ না করলে আমি আসমানসমূহসৃষ্টি করতাম না । যিনি রহমতুল্লিল আলআমিন, সমগ্র আলমের জন্য রহমতস্বরুপ । যাঁর
শাফায়াত ব্যাতীত কারো মুক্তি নেই । যার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছে মোকামে মাহমুদা অর্থাৎ প্রশংসিত মোকাম । যিনি খোদ মালিক ঐ প্রশংসিত মোকামের । যিনি আল্লাহ্র সঙ্গে একই গুনে গুণান্বিত, আওয়ালে, আখেরে, জাহেরে, বাতেনে । যেখানে আল্লাহ সর্বগুণের উৎস আর রসুল হলেন সকল গুনের অধিকারী, যেখানে আল্লাহ-রসুলের দূরত্ব দুই ধনুকের ব্যবধান ( অর্থাৎ বৃত্ত ) নিকটে অথবা আরো নিকটেবলা হয়েছে, আল্লাহ এবং রসূলের কথা যে আলাদা মনে করে সে আমার দলচ্যুত (৪:১৫০:১৫২) । " মাইউতির রসুলাফাকাদ আতা আলাহ " অর্থাৎ যে রসূলের আনুগত্য করল সে আল্লাহ্র আনুগত্য করল । সবনবীদের যিনি সিলমোহরদাতা, সকল জাতির ধর্মগ্রন্থে যে মোহাম্মদের আগমনের কথাউল্লেখ রয়েছে, যাঁর নূর থেকে আমরাসহ আঠার হাজার জগতসমূহ সৃষ্টি হয়েছে,যিনি বলেছেন, " মান রায়ানি ফাকাদ রায়াল হক " যে আমাকে দেখেছে সে আল্লাহকে দর্শন করেছে ; যেখানে মৌলিকভাবে মোহাম্মদ (সাঃ) এবং আলে মোহাম্মদের উপর আত্মসমর্পণথাকতে হবে (৪২:২৩) । সেই মোহাম্মদ (সাঃ) কে সাধারণ হিসাবেচিহ্নিত করা হয়েছে, ভুল-ভ্রান্তির অধীন করা হয়েছে । রসুলকে যদি সাধারণ মানুষহিসাবে চিহ্নিত করা যায় তবে নবী-বংশের গুরুত্ব
কমে যাবে । সে জন্যই রসুল সহ পাক-পাঞ্জাতনের সদস্যদের উপর রাজশক্তি কর্তৃক কিরূপ অত্যাচার,অবিচার ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে তাঁর মোটামুটি একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বিজ্ঞ পাঠকদের সামনে । উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হৃদয় দিয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করবেন । যেজাতি তাঁর নবীকে উচ্চাসনে বসাতে জানে না, নবীর মর্যাদা দিতে জানে না, নবীর মাহাত্ম্য ভেদ উপলব্ধি করিতে জানে না,নবীকে সাধারণ মানুষ হিসাবে মনে করে,সে জাতির কপালে ইহুদি নাছারাদের লাথি,ঝাঁটা ছাড়া আর কী প্রাপ্য হতে পারে,তাঁর প্রমান তো পেট্রো ডলারেরা দেশেইপাচ্ছেন । ছোট একটা ইহুদী রাষ্ট্র সমগ্র আরব মুসলিম বিশ্বকে নাকানিচুবানিখাওয়াচ্ছে । পাশ্চাত্যের অমুসলিম ঐতিহাসিক ও গবেষক মাইকেল এইচ হার্ট- এর' দি হান্ড্রেড 'নামক গ্রন্থে বৈজ্ঞানিক বিচার- বিশ্লেষণের মানদণ্ডেযাঁর নাম প্রথম স্থান লাভ করেছে সেই মহাপুরুষ জগৎগুরু মোহাম্মদ (সাঃ),এমনকি আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদি প্রফেসর জুলস ম্যাসার ম্যানও " হু আর দি ওয়ার্ল্ডস গ্রেটলিডার্স " নামক নিবন্ধে লিখেছেন, PerhapsThe Greatest Leader Of All Times অর্থাৎ সম্ভবত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগুরুহচ্ছেন মোহাম্মদ (সাঃ)
.একজন
খ্রিষ্টান লেখক লা মার্টিন হিস্টোরি অফটার্ক্স- এ লিখেছেন--- Philosopher,Orator,
Apostole, Legislator, Warrier, Conquerer of all ideas restorer of allrational
dogmas of all cult of images founder of twenty territorial empires. It is
Mohammed (S) As regards all standered may bemeasured by him we may well ask is
there any man greater then He ? একজন দার্শনিক, একজন বক্তা, একজন
নবী, একজন যোদ্ধা, একজন শাসক মূর্তি
বিনাশকারী বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা । এতগুন যাঁর মধ্যে দেখা যায় মানুষের
মধ্যেযত বিশেষণ দেখা যায় । যত স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া যায় আমার সামনে
মোহাম্মদ(সাঃ)-এর চেয়ে সুপারম্যান আছে কি ?ইহুদি নাছারারা যাঁর
শ্রেষ্ঠত্বের মান নির্ণয় করেছে সর্বউচ্চে আর আমরা সেই রসূলের জন্য মোনাজাত করছি
রসুলকে মোকামে মাহমুদায় অধিষ্ঠিত করো । বলতে পারেন তাহলে কি আমরা রসুলকেভক্তি-
শ্রদ্ধা করি না ? অবশ্যই করি । তাঁর বাণী ও সুন্নতের ধারেকাছেও নেই ।
আজানের সময়, ওয়াজ মাহফিলে, মোহাম্মদ (সাঃ) বললে
চোখে- মুখে চুমো খাই, ভক্তির আতিশয্য দেখাই, গাছের
গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মতো ।যেমন এজিদ সেনাধ্যক্ষরা কারবালায় বলেছিলো,
" দেখো
সেনাবৃন্দ, তাড়াতাড়ি হোসেনকে হত্যা করতে হবে যেন আছরের নামাজ কাজা
না হয়। " অথচ নামাজের মধ্যেবলেছে- হে আল্লাহ তুমি মোহাম্মদ ও তাঁর বংশের উপর
কল্যাণ ও বরকত দাও , প্রার্থনা করেএসেই মোহাম্মদবংশ নিপাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, কি
সাংঘাতিক নামাজি রে বাবা ! তেরশো বছরের ফসল তো, কিভাবে বদলাতে পারি ? আলেম
সম্প্রদায়ের কানে কি বাজেনা যে রেডিও- টিভি তে কী বলা হচ্ছে ? এই
কি আমাদের নবীর প্রতি, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ? সত্য
কথা বলার সাহস নেই কেন ? এটা মনে রাখবেন, সত্য তরবারির মতো
তীক্ষ্ণ ও ধারালো । আহলেবায়েতের অনুসারী যারা তাদের একটি আজানের মোনাজাত বাংলা
অর্থসহ চিন্তাশীলপাঠকদের সামনে তুলে ধরলাম । প্রচলিত আজানের মোনাজাতের অর্থের
সাথেতুলনামুলকভাবে বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি । " আল্লাহুম্মা
ইন্নিআযআল কালবি বাররাও ওয়াআয়াসি কাররাও, ওয়া আমালি সাররাও, ওয়া
রিজকি দ্বাররাও, ওয়া আওলাদে আবরারাও ওয়াল ইনদা কাবরে নবীয়েকা, মোহাম্মদিও
(সাঃ) মোস্তাকারাও কারবারাও, বের হমাতিকা ইয়া
আরহামার রাহেমিন । অর্থাৎ - " হে আল্লাহ, আমার কলবকে বরকতপুর্ন
করে দাও এবং আমার আয়াসকে সংক্ষিপ্ত করে দাও এবং আমার
রেজেক তুমি দান করো এবং আমার সন্তান-সন্ততিকে নেকবক্ত করে দাও, আমাদেরকে বানিয়ে দাও তোমার নবীমোহাম্মদ (সাঃ)- এর কবরের নিকটবর্তী এবং তথায় করো আমাকে বিশ্রামপ্রাপ্ত । নবী(সাঃ) এর নূর আমার মধ্যে স্থাপন করে আমাকে তাতে বিশ্রামপ্রাপ্ত করে দাও ।হে পরম দয়াল তোমার দয়ার দ্বারা এইরূপ করো ।"
রেজেক তুমি দান করো এবং আমার সন্তান-সন্ততিকে নেকবক্ত করে দাও, আমাদেরকে বানিয়ে দাও তোমার নবীমোহাম্মদ (সাঃ)- এর কবরের নিকটবর্তী এবং তথায় করো আমাকে বিশ্রামপ্রাপ্ত । নবী(সাঃ) এর নূর আমার মধ্যে স্থাপন করে আমাকে তাতে বিশ্রামপ্রাপ্ত করে দাও ।হে পরম দয়াল তোমার দয়ার দ্বারা এইরূপ করো ।"
হেরা
গুহাস্থিতনবী করিম (সাঃ) জিবরাইল (আঃ)-এর ওহি উচ্চারণের অনুরোধে তাঁর নীরবতা,পড়তে
পারেন না বলে অক্ষমতা জ্ঞাপন এবং হযরত জীবরাইলের আলিঙ্গনের পর হুজুরের ওহির পঠন
প্রভুর নামে পড়ো,ইকরা বিসমে রাব্বিকা । কিন্তু হুজুর পাক কি পড়বেন ?কেনই
বা পড়বেন ? যদি পড়তেই হয় তাহলে হযরত জীবরাইলেরআলিঙ্গনের পড়ে কেন, এর
উদ্দেশ্য কি ? নবী করীমকে কোরানপাক শিক্ষা দেওয়া তাওআবার জীবরাইল (আঃ)-
এর মাধ্যমে । সত্যিই বেশ মজার ব্যাপার ।যে নবী জিবরাঈল হতে অনেক অনেকগুণ শ্রেষ্ঠ, সেই
নবী (সাঃ) কে ফেরেশতা শিক্ষা দেবেন? যাঁর শ্রেষ্ঠত্বও চরিত্রের
কথা আল্লাহপাক ফরমাইলেন- " ইন্নাকা লা-আলা খুলুকিনআজিম " , অর্থাৎ
আমি তোমাকে উত্তম চরিত্রে সৃষ্টি করেছি । যাঁর চরিত্রের এবং শ্রেষ্ঠত্বের পূর্ণতা
ঘোষণা করা হলো সেই নবী করিম (সাঃ) কে আবারজ্ঞানী করতে হচ্ছে
জিবরাঈল (আঃ) ও তার আলিঙ্গনের মাধ্যমে। যে নবী করিম (সাঃ) পরে জিবরাইলের মাধ্যমে দুই -তিন,চার বাক্যযুক্ত ওহি নাজেল হলে হুজুরপাক(সাঃ) আরও বেশী আরও অগ্রে পড়ে যেতেনতাতে জিবরাইল (আঃ) লজ্জিত হয়ে যেতেন, তাঁকে কেন এভাবে জ্ঞানদান করা হলো ? যাঁর পুর্বার্জিত জ্ঞানকে গোপন করার জন্য জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহপাক বললেন- লা তাজআল ফিল কোরানেমিন ক্বাবলে আই ইউকদা ইলাইকা আহহু, অর্থাৎ কোরান অবতীর্ন হওয়ার পুর্বেতুমি পড়িও না । এই মহাজ্ঞানী নবীকে জানতে বুঝতে চিনতে শুধু মক্কা-মদিনারনবীকে চিনলে হবে না, আমাকে এতদূর পর্যন্ত যেতে হবে যেখানে গেলে আমার আমিত্বের, আমার সত্যের, আমার হাকিকতের অমর অবিনাশী আত্মারপিতৃঅন্বেষন জানা যাবে । মেরাজের সময় জিবরাইল (আঃ) বলেছেন,তিনি একটা তারা দেখেছেন যা সত্তর হাজার বছর উদিত থাকে
এবং সত্তর হাজার বছর অস্তমিত থাকে ;তিনি এই অবস্থা সত্তর হাজার বার দেখেছেন । হুজুর পাক (সাঃ) বলেছেন, তা তারই নূর । যিনি হাকিকতে সৃষ্টির আদি থেকেই আহাম্মদ মোজতবা অর্থাৎ বাছাইকৃত আহাম্মদএবং প্রকাশের পর প্রশংসিত মোহাম্মদ তাঁকে মোকামে মাহমুদায় অধিষ্ঠিত করারকী উলঙ্গ প্রচেষ্টা তা ভাবতেও গারি রি করে । যিনি সৃষ্টি আদি থেকেই নবী,কোনো কোনো জাহেল বলে রসুলপাক চল্লিশ বছরবয়সে নবুয়ত পেয়েছেন । আর একদল বলেন- রসুল (সাঃ) কে বড় ভাইকে যেমন ইজ্জত করেসেই রকম ইজ্জত করতে হবে । নবীর প্রতি এরূপ ধৃষ্টতাপুর্ন বাক্য ব্যবহারকরে- এরাও নাকি আবার মুসলমান ! কোরআনের সাংকেতিক অক্ষরগুলো, যার ইঙ্গিত আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে নাবলে তথাকথিত আলেমগণ বলে থাকেন, ঐ সাংকেতিক অক্ষরগুলো রসুল এবং তাঁরচৌদ্দজন মাসুমের প্রতীকরূপে গ্রহন করা হয়েছে ।
আমাদের ধারনায় কোরআনের সবকিছু মানুষের জানার জন্যই রয়েছে । আল্লাহ এবং মোহাম্মদ একই নূরের দুই রকমপ্রকাশ । নিরাকার আল্লাহ্র বাতেন রূপ এবং মোহাম্মদগোষ্ঠী সেই বাতেনের জাহেরীরূপ । ( ওয়াজহু আল্লাহ ) তাই আল্লাহ এবং রসূলমোহাম্মদ অবিচ্ছেদ্য, অখণ্ড, একক, অদ্বৈত । আল্লাহ এবং মোহাম্মদকে এভাবে না দেখলে তা হবে সত্যিকারকুফরী । চিনির সাথে মিষ্টতা যেমন কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না খোদা ও রসূল তেমনিকখনো বিচ্ছিন্ন হয় না । আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, পরিচয় শুধু মানুষের মধ্যে, আর কোথাও আল্লাহ্র পরিচয় মেলে না ।যেখানে আল্লাহ্র পরিচয়, সেখানে রসূলের পরিচয় । আল্লাহ-রসুলকে সনাক্ত করারকোনো শিক্ষা আলেম- মোল্লাদের নেই । আল্লাহ মানুষকে ডাকছেন আল্লাহ্র বন্ধুহতে, অবিচ্ছিন্ন থাকতে, আল্লাহময় হয়ে যেতে । আর মোল্লাতন্ত্র আল্লাহকেখুব বড় মনে করে শুন্য আকাশে
সাততলা আসমানে কুরছিতে উপবিষ্ট রেখেদূর থেকে গোলামি করে নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে । আর রসূল সম্পর্কে তাদের ধারণাহলো যে, মোহামদ (সাঃ) এন্তেকাল করেছেন এবং তিনি মদিনার রওজায় শায়িতআছেন । তারা বহু দূরে কাল্পনিক বেহেশত কামনা করছে আর জৈবিক হুরের সাথে এক একছহবতে পঞ্চাশ হাজার বছর গুজরানের স্বপ্ন দেখছেন । Reward of theinnerself of the Rooh is Hoor. সাধকের নিজের আলোকিত স্বরূপ যখন মুর্তিরূপেদর্শন লাভ করে তখন ঐ মুর্তিকেই হুর বলা হয়েছে । অতএব হুর হলো সত্যদ্রষ্টামানবের আপন প্রতিচ্ছবি । হুরের অস্তিত্ব জাহের-বাতেনে পরিব্যাপ্ত । এরা শরীরী ওঅশরীরী রূপ ধারন করতে পারে এবং যথা খুশী বিচরন করতে পারে । এর শারীরিকরূপটিও নূররুপী দেহ হয়ে থাকে । আধ্যাত্নিক জগতের বেহেশতে এবং নুরেরহুরকে একেবারে রক্ত-মাংশের জীব বানিয়েছে ।
এজিদপক্ষীয় মোল্লাদের দ্বারা সমাজপরিচালিত হয়ে ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম জাতি অন্যান্য সমস্ত জাতির পিছনে পড়ে গেছে ।
জিবরাঈল (আঃ) ও তার আলিঙ্গনের মাধ্যমে। যে নবী করিম (সাঃ) পরে জিবরাইলের মাধ্যমে দুই -তিন,চার বাক্যযুক্ত ওহি নাজেল হলে হুজুরপাক(সাঃ) আরও বেশী আরও অগ্রে পড়ে যেতেনতাতে জিবরাইল (আঃ) লজ্জিত হয়ে যেতেন, তাঁকে কেন এভাবে জ্ঞানদান করা হলো ? যাঁর পুর্বার্জিত জ্ঞানকে গোপন করার জন্য জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহপাক বললেন- লা তাজআল ফিল কোরানেমিন ক্বাবলে আই ইউকদা ইলাইকা আহহু, অর্থাৎ কোরান অবতীর্ন হওয়ার পুর্বেতুমি পড়িও না । এই মহাজ্ঞানী নবীকে জানতে বুঝতে চিনতে শুধু মক্কা-মদিনারনবীকে চিনলে হবে না, আমাকে এতদূর পর্যন্ত যেতে হবে যেখানে গেলে আমার আমিত্বের, আমার সত্যের, আমার হাকিকতের অমর অবিনাশী আত্মারপিতৃঅন্বেষন জানা যাবে । মেরাজের সময় জিবরাইল (আঃ) বলেছেন,তিনি একটা তারা দেখেছেন যা সত্তর হাজার বছর উদিত থাকে
এবং সত্তর হাজার বছর অস্তমিত থাকে ;তিনি এই অবস্থা সত্তর হাজার বার দেখেছেন । হুজুর পাক (সাঃ) বলেছেন, তা তারই নূর । যিনি হাকিকতে সৃষ্টির আদি থেকেই আহাম্মদ মোজতবা অর্থাৎ বাছাইকৃত আহাম্মদএবং প্রকাশের পর প্রশংসিত মোহাম্মদ তাঁকে মোকামে মাহমুদায় অধিষ্ঠিত করারকী উলঙ্গ প্রচেষ্টা তা ভাবতেও গারি রি করে । যিনি সৃষ্টি আদি থেকেই নবী,কোনো কোনো জাহেল বলে রসুলপাক চল্লিশ বছরবয়সে নবুয়ত পেয়েছেন । আর একদল বলেন- রসুল (সাঃ) কে বড় ভাইকে যেমন ইজ্জত করেসেই রকম ইজ্জত করতে হবে । নবীর প্রতি এরূপ ধৃষ্টতাপুর্ন বাক্য ব্যবহারকরে- এরাও নাকি আবার মুসলমান ! কোরআনের সাংকেতিক অক্ষরগুলো, যার ইঙ্গিত আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে নাবলে তথাকথিত আলেমগণ বলে থাকেন, ঐ সাংকেতিক অক্ষরগুলো রসুল এবং তাঁরচৌদ্দজন মাসুমের প্রতীকরূপে গ্রহন করা হয়েছে ।
আমাদের ধারনায় কোরআনের সবকিছু মানুষের জানার জন্যই রয়েছে । আল্লাহ এবং মোহাম্মদ একই নূরের দুই রকমপ্রকাশ । নিরাকার আল্লাহ্র বাতেন রূপ এবং মোহাম্মদগোষ্ঠী সেই বাতেনের জাহেরীরূপ । ( ওয়াজহু আল্লাহ ) তাই আল্লাহ এবং রসূলমোহাম্মদ অবিচ্ছেদ্য, অখণ্ড, একক, অদ্বৈত । আল্লাহ এবং মোহাম্মদকে এভাবে না দেখলে তা হবে সত্যিকারকুফরী । চিনির সাথে মিষ্টতা যেমন কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না খোদা ও রসূল তেমনিকখনো বিচ্ছিন্ন হয় না । আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, পরিচয় শুধু মানুষের মধ্যে, আর কোথাও আল্লাহ্র পরিচয় মেলে না ।যেখানে আল্লাহ্র পরিচয়, সেখানে রসূলের পরিচয় । আল্লাহ-রসুলকে সনাক্ত করারকোনো শিক্ষা আলেম- মোল্লাদের নেই । আল্লাহ মানুষকে ডাকছেন আল্লাহ্র বন্ধুহতে, অবিচ্ছিন্ন থাকতে, আল্লাহময় হয়ে যেতে । আর মোল্লাতন্ত্র আল্লাহকেখুব বড় মনে করে শুন্য আকাশে
সাততলা আসমানে কুরছিতে উপবিষ্ট রেখেদূর থেকে গোলামি করে নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে । আর রসূল সম্পর্কে তাদের ধারণাহলো যে, মোহামদ (সাঃ) এন্তেকাল করেছেন এবং তিনি মদিনার রওজায় শায়িতআছেন । তারা বহু দূরে কাল্পনিক বেহেশত কামনা করছে আর জৈবিক হুরের সাথে এক একছহবতে পঞ্চাশ হাজার বছর গুজরানের স্বপ্ন দেখছেন । Reward of theinnerself of the Rooh is Hoor. সাধকের নিজের আলোকিত স্বরূপ যখন মুর্তিরূপেদর্শন লাভ করে তখন ঐ মুর্তিকেই হুর বলা হয়েছে । অতএব হুর হলো সত্যদ্রষ্টামানবের আপন প্রতিচ্ছবি । হুরের অস্তিত্ব জাহের-বাতেনে পরিব্যাপ্ত । এরা শরীরী ওঅশরীরী রূপ ধারন করতে পারে এবং যথা খুশী বিচরন করতে পারে । এর শারীরিকরূপটিও নূররুপী দেহ হয়ে থাকে । আধ্যাত্নিক জগতের বেহেশতে এবং নুরেরহুরকে একেবারে রক্ত-মাংশের জীব বানিয়েছে ।
এজিদপক্ষীয় মোল্লাদের দ্বারা সমাজপরিচালিত হয়ে ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম জাতি অন্যান্য সমস্ত জাতির পিছনে পড়ে গেছে ।
নুরনবী
(সাঃ) কেসাধারন মানুষ বানিয়েছে । একদিকে তাঁর বাণীর অমর্যাদা ও অশ্রদ্ধা করাহয়েছে, অন্যদিকে
তাদেরমুখে রয়েছে রসূলের নামে প্রাণপাত করার শ্লোগান । হাদিস মোতাবেক বৈষয়িক
ওআধ্মাত্নিক জগতে সেই উচ্চতম মর্যাদায় আমাদের উত্থান কোথায় ? গোমরাহিতে
নিমজ্জিত সমাজে জ্ঞানীগণ নির্ভয়েনিঃশঙ্কচিত্তে কথা বলতে পারে না । যদি কেউ কিছু
বলেন বা প্রকাশ করেন বাইরেরকাঠামো অনুসরণকারীরা, তা
বুঝতে পারে না, ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে মোল্লারা
হৈ চৈ শুরু করেন। এই মুসলিম সমাজকে কাজী নজরুল ইসলাম ধমক দিয়ে লিখেছেন,"
কিয়ামতে
তারা ফলপাবে গিয়ে ? ঝুড়ি ঝুড়ি পাবে হুর পরী ? পরীর
ভোগের শরীরই ওদের দেখি শুনি আরহেসে 'মরি' তারা
যদি মরে বেহেশতে যায় সেই বেহেশত মজারঠাই ; এই সব পশু রহিবে যথা সে
চিড়িয়াখানার তুলনা নাই । আসিল বেহেশতইনচার্জ ছুটে বলে পরীদের, 'করিলে
কি ? ও যে বেহেস্তি ? পরীর দল বলে ঐ জংলীটা, ছি, ছি, ছি
। এখনই উহারে পাঠাও আবার পৃথিবীতে, সেথা সভ্য হোক তারপর
যেন ফিরে আসে এইহুর পরীদের স্বর্গলোকে' হাসিছ বন্ধু ? হাস, হাস, আরও
বেশী হাসি আছে, যখন দেখিবে বেহেশত বলে ওদের কোথায় আনিয়াছ । "
কবিআরো বলেছেন- " বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনও বসে-
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ওহাদিস চষে ; গুণতিতে মোরা বাড়িয়ে চলেছি গরু ছাগলের মতো-রীশ- ই বুলন্দ, শেরওয়ানী, চোগা, তসবী টুপি ছাড়া- পড়ে নাক কিছু মুসলিম গাছধরে দাও নাড়া । " অন্যত্র কবি বলেছেন, " ইসলাম তুমি দিয়ে কবর- মুসলিম বলে করফখর- মোনাফেক তুমি সেরা বে-দ্বীন নামাজ রোযার শুধু ভড়ং- ইয়া উয়া পড়েসেজেছ সং জাব্বা, জোব্বা দিয়ে ধোঁকা দিবি আল্লাহ্রে ওরে বোকা মনের পশুরেকর জবাই, পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই । " আবার কবি বলেছেন- " গোঁড়ামি ধর্মনয়- এই গোঁড়াদের সর্বশাস্ত্রে শয়তানী চেলা কয়- গাধার মতন বইছে ইহারাশাস্ত্রে কোরান বেদ নাই, পরমত- সহিষ্ণুতা সে কভু নাহি ধার্মিক । " তারপর আরওবলা হয়েছে, যার হৃদয়ে আল্লাহর নূর স্থান লাভ করেছে তার মন বহু বিষয়ের মধ্যেদৌড়াদৌড়ি করবে না । পাগড়ি আর পোশাকের মধ্যে কখনোই পাওয়া যাবে না যদি নাহৃদয়ের মধ্যে সেই নূর মজুত থাকে । ফেকা, জুববা আর পাগড়ি পরিধানেই ধর্মেরবিষয়টির পরিচয় লাভ হয় না, যদি না অন্তরে আল্লাহর নুরের জ্যোতির বিকাশ লাভ করে ।যা বাস্তব, তা সত্য, আর যা সত্য তা ধর্ম কিন্তু এ জাতি বাস্তব সত্য চায় নাঅনুমানে সত্য লাভ করতে চায় । মাদরাসা ভাইদের অনুমানে সত্য লাভ করতেইহবে যে, খোদা সত্য, রসূল সত্য ও কোরান সত্য । যদিও কোরানে অনুমানে এরূপবিশ্বাসীদেরকে নির্বোধ বলা হয়েছে বারবার । আরো বলা হয়েছে, অনুমানে সত্য লাভ হয় না সত্যেরপরিবর্তে অনুমান কখনও কাজে লাগে না । লিও টলস্টয়বলেছেন- " ভগবানকে বিশ্বাস করতে দুঃসাহসের প্রয়োজন । খোদাকে বিশ্বাস করতে শুধুসাহসে কুলাবে না, দুঃসাহস লাগবে । খোদাকে এবং খোদার বাণী বিশ্বাস করতে কিযে কঠিন যারা বিশ্বাস করতে সক্ষম হয়েছে, শুধু তারাই জানেন । " জনৈক উর্দুকবি বলেছেন- লবজে আনাল হক কিসনে কাহা, ফতুয়া ছুলি কিসনে দিয়া, ইয়ে ভেদ উসিকা ও জানে জো দরপে গরদানকাটাই হ্যায় । অনুমানে সকলেই খোদাবিশ্বাসী কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ নয়,অথচ আল্লাহ বলেন, জেনেশুনে যারা বিশ্বাস বা একিন করেতারা মোমিন আর অনুমানে যারা বিশ্বাসী তারা নির্বোধ । ইন্দ্রিয়সমুহেরআত্মপ্রত্যয়জনিত বাস্তব উপলব্ধির নাম একিন বা বিশ্বাস । শুধু বাহ্যিকআচার-অনুষ্ঠান পালন ইসলাম নয় । ইসলাম বাপ-দাদার ধর্ম নয় । ইসলাম অর্থমৃত্যুঞ্জয়, যে মৃত্যুকে জয় করেছে, সায়াতকে জয় করেছে , এই সৃষ্টিতে মৃত্যুর চেয়ে অশান্তি আরকিছুই নয় । এক জীবন ভোগ করে মরে যাওয়া আর যেদিন কেয়ামত হবে এঅনিশ্চিত বিশ্বাস ইসলাম নয় । জীবাত্মার উত্থান-পতনের
পরিবর্তনশীল জগত থেকে মানবাত্মারঅপরিবর্তনীয় অমর চিরজীবন লাভই ইসলাম । আইনস্টাইন বলেছেন, " ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান খোঁড়া বিজ্ঞান, আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ ধর্ম । মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম প্রমুখ নবীগণকে, ওলি- আউলিয়াকে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মুনি- ঋষি , সাধু পুরুষকে পৃথক পৃথক চিন্তা করা, তারা পূর্বে ছিলেন এখন নেই, এরূপ মনে করা উচিৎ নয় । তাঁরা পবিত্র আত্মার মানুষ আর এ বিশ্বাস যদি করা হয়, পবিত্র আত্মা মাত্র এক-অখন্ড এ জ্ঞান যদি থাকে, বর্তমানে যারা পবিত্র আত্মার মানুষতারাও তো এক-অখন্ড । এদের মধ্যেই তো মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ বিদ্যমান পবিত্র আত্মা বিশ্বব্যাপীঅখণ্ড সত্তা । " বিভিন্ন ধর্মের মোল্লারা যার যার নবী ধর্ম প্রবর্তককেআলাদা করে ধর্মের ব্যবসা করেছে । সাইন বোর্ড মানুষকে ক্ষণিকের আনন্দ দেয়সত্যি কিন্তু সত্যের দেশে নিয়ে যেতে পারে না ।
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ওহাদিস চষে ; গুণতিতে মোরা বাড়িয়ে চলেছি গরু ছাগলের মতো-রীশ- ই বুলন্দ, শেরওয়ানী, চোগা, তসবী টুপি ছাড়া- পড়ে নাক কিছু মুসলিম গাছধরে দাও নাড়া । " অন্যত্র কবি বলেছেন, " ইসলাম তুমি দিয়ে কবর- মুসলিম বলে করফখর- মোনাফেক তুমি সেরা বে-দ্বীন নামাজ রোযার শুধু ভড়ং- ইয়া উয়া পড়েসেজেছ সং জাব্বা, জোব্বা দিয়ে ধোঁকা দিবি আল্লাহ্রে ওরে বোকা মনের পশুরেকর জবাই, পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই । " আবার কবি বলেছেন- " গোঁড়ামি ধর্মনয়- এই গোঁড়াদের সর্বশাস্ত্রে শয়তানী চেলা কয়- গাধার মতন বইছে ইহারাশাস্ত্রে কোরান বেদ নাই, পরমত- সহিষ্ণুতা সে কভু নাহি ধার্মিক । " তারপর আরওবলা হয়েছে, যার হৃদয়ে আল্লাহর নূর স্থান লাভ করেছে তার মন বহু বিষয়ের মধ্যেদৌড়াদৌড়ি করবে না । পাগড়ি আর পোশাকের মধ্যে কখনোই পাওয়া যাবে না যদি নাহৃদয়ের মধ্যে সেই নূর মজুত থাকে । ফেকা, জুববা আর পাগড়ি পরিধানেই ধর্মেরবিষয়টির পরিচয় লাভ হয় না, যদি না অন্তরে আল্লাহর নুরের জ্যোতির বিকাশ লাভ করে ।যা বাস্তব, তা সত্য, আর যা সত্য তা ধর্ম কিন্তু এ জাতি বাস্তব সত্য চায় নাঅনুমানে সত্য লাভ করতে চায় । মাদরাসা ভাইদের অনুমানে সত্য লাভ করতেইহবে যে, খোদা সত্য, রসূল সত্য ও কোরান সত্য । যদিও কোরানে অনুমানে এরূপবিশ্বাসীদেরকে নির্বোধ বলা হয়েছে বারবার । আরো বলা হয়েছে, অনুমানে সত্য লাভ হয় না সত্যেরপরিবর্তে অনুমান কখনও কাজে লাগে না । লিও টলস্টয়বলেছেন- " ভগবানকে বিশ্বাস করতে দুঃসাহসের প্রয়োজন । খোদাকে বিশ্বাস করতে শুধুসাহসে কুলাবে না, দুঃসাহস লাগবে । খোদাকে এবং খোদার বাণী বিশ্বাস করতে কিযে কঠিন যারা বিশ্বাস করতে সক্ষম হয়েছে, শুধু তারাই জানেন । " জনৈক উর্দুকবি বলেছেন- লবজে আনাল হক কিসনে কাহা, ফতুয়া ছুলি কিসনে দিয়া, ইয়ে ভেদ উসিকা ও জানে জো দরপে গরদানকাটাই হ্যায় । অনুমানে সকলেই খোদাবিশ্বাসী কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ নয়,অথচ আল্লাহ বলেন, জেনেশুনে যারা বিশ্বাস বা একিন করেতারা মোমিন আর অনুমানে যারা বিশ্বাসী তারা নির্বোধ । ইন্দ্রিয়সমুহেরআত্মপ্রত্যয়জনিত বাস্তব উপলব্ধির নাম একিন বা বিশ্বাস । শুধু বাহ্যিকআচার-অনুষ্ঠান পালন ইসলাম নয় । ইসলাম বাপ-দাদার ধর্ম নয় । ইসলাম অর্থমৃত্যুঞ্জয়, যে মৃত্যুকে জয় করেছে, সায়াতকে জয় করেছে , এই সৃষ্টিতে মৃত্যুর চেয়ে অশান্তি আরকিছুই নয় । এক জীবন ভোগ করে মরে যাওয়া আর যেদিন কেয়ামত হবে এঅনিশ্চিত বিশ্বাস ইসলাম নয় । জীবাত্মার উত্থান-পতনের
পরিবর্তনশীল জগত থেকে মানবাত্মারঅপরিবর্তনীয় অমর চিরজীবন লাভই ইসলাম । আইনস্টাইন বলেছেন, " ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান খোঁড়া বিজ্ঞান, আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ ধর্ম । মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম প্রমুখ নবীগণকে, ওলি- আউলিয়াকে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মুনি- ঋষি , সাধু পুরুষকে পৃথক পৃথক চিন্তা করা, তারা পূর্বে ছিলেন এখন নেই, এরূপ মনে করা উচিৎ নয় । তাঁরা পবিত্র আত্মার মানুষ আর এ বিশ্বাস যদি করা হয়, পবিত্র আত্মা মাত্র এক-অখন্ড এ জ্ঞান যদি থাকে, বর্তমানে যারা পবিত্র আত্মার মানুষতারাও তো এক-অখন্ড । এদের মধ্যেই তো মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ বিদ্যমান পবিত্র আত্মা বিশ্বব্যাপীঅখণ্ড সত্তা । " বিভিন্ন ধর্মের মোল্লারা যার যার নবী ধর্ম প্রবর্তককেআলাদা করে ধর্মের ব্যবসা করেছে । সাইন বোর্ড মানুষকে ক্ষণিকের আনন্দ দেয়সত্যি কিন্তু সত্যের দেশে নিয়ে যেতে পারে না ।
বাস্তবিকইঅন্যান্য
জাতির কাছে ইসলাম কিছু আছে, মুসলমান জাতির মধ্যে যারা ইসলাম ইসলাম করে না তাদের
মধ্যে কিছু আছে;কিন্তু যারা ইসলাম ইসলাম করে ঢাক- ঢোল পিটিয়েবুলি
আওড়াচ্ছে তাদের কাছে মোটেই ইসলাম নেই । কারন ইসলাম সার্বিকমানবমুক্তির একটি
বিপ্লবী ধর্ম । ব্যবহারিক শরিয়তের দিকদিয়ে বিভিন্ন প্রকার গুরুতর পার্থক্য পরিবেশ
থাকা সত্বেও কোরানকোনো মানুষকেই আল্লাহর রহমত থেকে মাহরুম, খারিজ, নাকচ
ঘোষনা করেনি, কেবল শর্ত আছে- 'যারা ইমান এনেছে
(মুসলিম) আর যারা ইহুদি, খ্রিস্টান, সাবেয়ীন ( সেই যুগের
সূর্য- চাঁদ তারা উপাসক কিংবা যে কোনো জমানার পৌত্তলিক ) তাদের যারাই এক
আল্লাহবিশ্বাস করে আখেরাত ( পাপ-পুন্য-দোজখ-বেহেশ্ত ) মানেন। ফলে সৎকাজ করেন, তাদের
প্রভুর তরফ থেকে তাদের (ঐ পুন্য কাজেরপ্রতিদান ) পুরস্কার রয়েছে, তাদের
কোনো ভয় নেই আর তারা (পরকালে ) কষ্ট ক্লেশওপাবে না " । সুরা বাক্বারা, আয়াত-৬২, সুরা
আলে ইমরান, আয়াত-৬৩-১০৯ । কেবল ধর্মের শ্রেষ্ঠতম সুফল আল্লাহর
বন্ধুত্ব লাভ (বেলায়েত ) সেই বুজুর্গি আর আখের ইসলাম ছাড়া আদি বাপ্রাচীন ইসলামে তা
সম্ভবপর নয়, কারন ধর্মের স্রষ্টা আল্লাহ নবীর পর নবী পাঠিয়ে এখানেই
পূর্ণফল পাবার মতো
খাঁটি তরিকত, হাকিকত, মারেফত দিয়ে ধর্মকে চিরকালের জন্য খাতেমা-বিল খায়ের করে দিয়েছেন- আলে ইমরান-১৮। তাই কাজীনজরুল হেদায়েত করে মানুষকে বলেছেন- " কেবল মুসলমানের লাগিয়ে আসেনিকোইসলাম, সত্য যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারই নাম।" । মাওলানা রুমী বলেছেন- " কাফেরের আমল বানরের ন্যায় তাই বলে বানর কখনোমানুষ হয় না । রমনীর ক্ষেত্রে বীর্য বপনের লক্ষ্য সন্তান পাওয়া, কিন্তু স্বপ্নে রমনীর ক্ষেত্রে বীর্যবপন করলে সন্তান তো পাওয়া যায়ই না বরং কাপড়টি নষ্ট হয় । খোদাকে দেখা ভিন্নলক্ষ্য দর্শনবিহীন নামাজ ফলহীন, অর্থহীন বরং ক্ষতিকর । 'মওলা আলী' বলেছেন- " মানুষ যতক্ষণ অন্যায় অসত্যের বন্ধনে থাকেততক্ষণই অদৃশ্য খোদার এবাদত করে এবং রসূলগণের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে ।" এজিদি মোল্লাতন্ত্রে নামাজ পড়ো, রোজা করো ও হজের তাগিদ রয়েছে কিন্তু এরদর্শন নেই, আল্লাহ আল্লাহ নাম জপো, লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু জপো, আলহামদুলিল্লাহ জপো, সুবহানাল্লাহ জপো, নামের মালা জপনা আছে। কিন্তু বাস্তব উপলব্ধিনেই । মওলানা রুমী আরও বলেছেন " ওয়াক্তিয়া নামাজ, অন্ধের হাতের লাঠির স্বরূপ, অন্ধ যেমন লাঠি ছাড়া চলতে পারে না ; যারা ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া কোনো নামাজ বুঝে না তারা
ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া চলতে পারে না ।কিন্তু যার চোখ আছে সে লাঠি ছাড়াই চলতে পারে । অন্ধের লাঠির দ্বারাঅন্ধভাবে জ্ঞানী লোকের হয়রানি বহু হয়েছে কিন্তু অন্ধ এ লাঠি ছাড়েনি । লজ্জাজনকব্যাপার যে, অন্ধের লাঠি ওয়াক্তিয়া নামাজই মুসলিম বিশ্বের নামাজ নামেএকমাত্র নামাজ । আধ্যাত্নিক জগতে আত্মার বিচার দ্বারা সৎ স্বভাব গঠনই আসল নামাজ,সমাজ এটা ভুলে গেছে । জাঁদরেল লেখক ডাঃ জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী বলেছেন- " হিংসার বীজ হতেযে বিষময় জঘন্য ফলের জন্ম হয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত প্রায় সব কটি ধর্মের মাধ্যমে কমবেশি পাওয়া যায় । কেউ বলতে পারবে না যে আমরা তুলসী পাতা ধোয়া একদমপবিত্র জল, যার দরুন মানবতার মহামিলনের জলকে আমরা সবাই ঘোলা করে ফেলেছি । ধর্মের এত সাইনবোর্ডের গুঁতাগুঁতির ফলে একজন সত্যসন্ধানী মানুষের পক্ষে সত্য উদ্ধার করতে খুব কঠিন সমস্যায় পড়তে হয় । আপনি যে কোনো ধর্মের বই পড়ুন দেখবেন সত্যের চেয়ে সাইনবোর্ডের গান বেশি গাওয়া হয়েছে । এই বাস্তবনাজুক পরিস্থিতি ও পরিবেশের দরুন ধর্মের দামটি দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং নাস্তিক্যভাব আসার সুযোগ পাচ্ছে । আমরা সবাই খাল কেটে যাই কিন্তু খালদিয়ে কুমির আসবে সেটার কথা একবারও চিন্তা করি না " ।
" মুরগির ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে । যারা ডিমেরমধ্যে বাচ্চা থাকে না বলে বিশ্বাস করে তারা ভয়ঙ্কর, তাদের থেকে সাবধান । কারন তারা ডিমআলাদা এবং বাচ্চা আলাদা করে ফেলে এবং এই আলদা করাটাই হলো শেরক। তারা জানে না যে, ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে এবং ডিমের একটিবিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতির সময় হলেই ডিমটি ফেটে যায় এবং ফেটে যাওয়া ডিম হতেবেরিয়ে পড়ে একটি বাচ্চা । সুতরাং ডিম এবং বাচ্চার সহাবস্থান । এইসহাবস্থানটিকে যারা অস্বীকার করে বাচ্চাটি আকাশ হতে নেমে আসবে বলে বিশ্বাস করেতাদের কথা এবং আকিদা যত সুন্দর ও ভদ্রই হোক না কেন আসলে তারা মোটেও তৌহিদবাদীনয় । যদিও তারাই বড় গলায় নিজেদেরকে তৌহিদবাদী বলে ঘোষনা করে এবং পরক্ষনেযারা ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি আছে বলে বিশ্বাস করছে তাদের উপর শেরক বেদাতেরমিথ্যা বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বড় একটা কাজ করলাম বলে ভাবছে । এরকম চরিত্রেরতৌহিদবাদীদের থেকে বড় বড় অলি-দরবেশ-মুনি-ঋষিরা বারবার সাবধানথাকতে উপদেশ দিয়েছেন , কোরান এ রকম তৌহিদবাদীদের নামাজ-রোজাকে লোক দেখানোনামাজ রোজা বলে সাবধান করে দিয়েছেন ।" যারা ডিমকে শুধু উপাদেয় খাবার হিসেবে
জানে তারা সাধারন মানুষ নাস । যারা ডিমে তা দিয়ে কিভাবে তাড়াতাড়ি বাচ্চা ফোটানো যায় এইচিন্তা-ভাবনায় মশগুল তারা হলো আমানু । যারা ডিম থেকেবাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছেন এবং কিভাবে তার পালন করতে হবে, বড় করে তুলতে হবে
এই গবেষণায় যারা ব্যাস্ত তারা হলেন মোমিন অর্থাৎ সত্যদ্রষ্টা । কোরানে অংকিত জীবনদর্শনপুনর্জন্মবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে । এ কথা শুনেমুসলিম ভাইদের আঁতকে উঠার কোনো কারন নেই । পুনর্জন্মবাদের কথা কোরানের ভাষাচাতুর্যে
প্রচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে । ( এই সম্পর্কে জানতে হলে সুফি সদর উদ্দীন আহ্মদ চিশতী রচিত 'কোরান দর্শন' প্রথম হতে তৃতীয় খন্ড পড়ুন ) কোরানেরপাতায় পাতায় জন্মান্তরবাদ বা রূপান্তর বাদ রয়েছে তা জেনে নিন ।অবশ্য মোমিন এবং
প্রকৃত মুক্তিপ্রাপ্ত মুসলমানের পুনর্জন্ম নাই,তাঁরা জন্মচক্র হতে মুক্ত । রসূলের শিষ্যবর্গের মধ্যে মোমিনের সংখ্যা ছিল নগন্য, বর্ণচোরা মোনাফিকের সংখ্যা ছিল বেশী । মোমিনগণ চক্ষুষ্মান হওয়া সত্বেও রসুলুল্লাহর নির্দেশক্রমেতা প্রকাশ করেননি ।
সহজ ভাষায় সাধারণভাবে প্রকাশ করলেও পশুপ্রকৃতির মুর্খ আরবগণ যার সংখ্যা ছিল অধিক তারা ধর্ম গ্রহন করত না এবং করলেও আত্মশুদ্ধির ব্যপারে একেবারে শিথিল থাকত । রাষ্ট্রীয় গোলযোগের কারনে খেলাফতকালে এর প্রকাশ হয়নি ।
তারপর যদিও মিসরে ফাতেমী রাজত্বকালে এই মতবাদ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রচলিত হয়েছিল কিন্তু বেশিদিন সেখানে টিকতে পারেনি । প্রায় আড়াই'শ বৎসর ফাতেমীরা রাজত্ব করেন । সুলতান সালাহউদ্দিন সে দেশ জয় করেন এবং এই মতবাদ
পুনরায় সেখান হতে নিশ্চিহ্ন করে দেয়াহয় ।
খাঁটি তরিকত, হাকিকত, মারেফত দিয়ে ধর্মকে চিরকালের জন্য খাতেমা-বিল খায়ের করে দিয়েছেন- আলে ইমরান-১৮। তাই কাজীনজরুল হেদায়েত করে মানুষকে বলেছেন- " কেবল মুসলমানের লাগিয়ে আসেনিকোইসলাম, সত্য যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারই নাম।" । মাওলানা রুমী বলেছেন- " কাফেরের আমল বানরের ন্যায় তাই বলে বানর কখনোমানুষ হয় না । রমনীর ক্ষেত্রে বীর্য বপনের লক্ষ্য সন্তান পাওয়া, কিন্তু স্বপ্নে রমনীর ক্ষেত্রে বীর্যবপন করলে সন্তান তো পাওয়া যায়ই না বরং কাপড়টি নষ্ট হয় । খোদাকে দেখা ভিন্নলক্ষ্য দর্শনবিহীন নামাজ ফলহীন, অর্থহীন বরং ক্ষতিকর । 'মওলা আলী' বলেছেন- " মানুষ যতক্ষণ অন্যায় অসত্যের বন্ধনে থাকেততক্ষণই অদৃশ্য খোদার এবাদত করে এবং রসূলগণের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে ।" এজিদি মোল্লাতন্ত্রে নামাজ পড়ো, রোজা করো ও হজের তাগিদ রয়েছে কিন্তু এরদর্শন নেই, আল্লাহ আল্লাহ নাম জপো, লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু জপো, আলহামদুলিল্লাহ জপো, সুবহানাল্লাহ জপো, নামের মালা জপনা আছে। কিন্তু বাস্তব উপলব্ধিনেই । মওলানা রুমী আরও বলেছেন " ওয়াক্তিয়া নামাজ, অন্ধের হাতের লাঠির স্বরূপ, অন্ধ যেমন লাঠি ছাড়া চলতে পারে না ; যারা ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া কোনো নামাজ বুঝে না তারা
ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া চলতে পারে না ।কিন্তু যার চোখ আছে সে লাঠি ছাড়াই চলতে পারে । অন্ধের লাঠির দ্বারাঅন্ধভাবে জ্ঞানী লোকের হয়রানি বহু হয়েছে কিন্তু অন্ধ এ লাঠি ছাড়েনি । লজ্জাজনকব্যাপার যে, অন্ধের লাঠি ওয়াক্তিয়া নামাজই মুসলিম বিশ্বের নামাজ নামেএকমাত্র নামাজ । আধ্যাত্নিক জগতে আত্মার বিচার দ্বারা সৎ স্বভাব গঠনই আসল নামাজ,সমাজ এটা ভুলে গেছে । জাঁদরেল লেখক ডাঃ জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী বলেছেন- " হিংসার বীজ হতেযে বিষময় জঘন্য ফলের জন্ম হয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত প্রায় সব কটি ধর্মের মাধ্যমে কমবেশি পাওয়া যায় । কেউ বলতে পারবে না যে আমরা তুলসী পাতা ধোয়া একদমপবিত্র জল, যার দরুন মানবতার মহামিলনের জলকে আমরা সবাই ঘোলা করে ফেলেছি । ধর্মের এত সাইনবোর্ডের গুঁতাগুঁতির ফলে একজন সত্যসন্ধানী মানুষের পক্ষে সত্য উদ্ধার করতে খুব কঠিন সমস্যায় পড়তে হয় । আপনি যে কোনো ধর্মের বই পড়ুন দেখবেন সত্যের চেয়ে সাইনবোর্ডের গান বেশি গাওয়া হয়েছে । এই বাস্তবনাজুক পরিস্থিতি ও পরিবেশের দরুন ধর্মের দামটি দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং নাস্তিক্যভাব আসার সুযোগ পাচ্ছে । আমরা সবাই খাল কেটে যাই কিন্তু খালদিয়ে কুমির আসবে সেটার কথা একবারও চিন্তা করি না " ।
" মুরগির ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে । যারা ডিমেরমধ্যে বাচ্চা থাকে না বলে বিশ্বাস করে তারা ভয়ঙ্কর, তাদের থেকে সাবধান । কারন তারা ডিমআলাদা এবং বাচ্চা আলাদা করে ফেলে এবং এই আলদা করাটাই হলো শেরক। তারা জানে না যে, ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে এবং ডিমের একটিবিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতির সময় হলেই ডিমটি ফেটে যায় এবং ফেটে যাওয়া ডিম হতেবেরিয়ে পড়ে একটি বাচ্চা । সুতরাং ডিম এবং বাচ্চার সহাবস্থান । এইসহাবস্থানটিকে যারা অস্বীকার করে বাচ্চাটি আকাশ হতে নেমে আসবে বলে বিশ্বাস করেতাদের কথা এবং আকিদা যত সুন্দর ও ভদ্রই হোক না কেন আসলে তারা মোটেও তৌহিদবাদীনয় । যদিও তারাই বড় গলায় নিজেদেরকে তৌহিদবাদী বলে ঘোষনা করে এবং পরক্ষনেযারা ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি আছে বলে বিশ্বাস করছে তাদের উপর শেরক বেদাতেরমিথ্যা বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বড় একটা কাজ করলাম বলে ভাবছে । এরকম চরিত্রেরতৌহিদবাদীদের থেকে বড় বড় অলি-দরবেশ-মুনি-ঋষিরা বারবার সাবধানথাকতে উপদেশ দিয়েছেন , কোরান এ রকম তৌহিদবাদীদের নামাজ-রোজাকে লোক দেখানোনামাজ রোজা বলে সাবধান করে দিয়েছেন ।" যারা ডিমকে শুধু উপাদেয় খাবার হিসেবে
জানে তারা সাধারন মানুষ নাস । যারা ডিমে তা দিয়ে কিভাবে তাড়াতাড়ি বাচ্চা ফোটানো যায় এইচিন্তা-ভাবনায় মশগুল তারা হলো আমানু । যারা ডিম থেকেবাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছেন এবং কিভাবে তার পালন করতে হবে, বড় করে তুলতে হবে
এই গবেষণায় যারা ব্যাস্ত তারা হলেন মোমিন অর্থাৎ সত্যদ্রষ্টা । কোরানে অংকিত জীবনদর্শনপুনর্জন্মবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে । এ কথা শুনেমুসলিম ভাইদের আঁতকে উঠার কোনো কারন নেই । পুনর্জন্মবাদের কথা কোরানের ভাষাচাতুর্যে
প্রচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে । ( এই সম্পর্কে জানতে হলে সুফি সদর উদ্দীন আহ্মদ চিশতী রচিত 'কোরান দর্শন' প্রথম হতে তৃতীয় খন্ড পড়ুন ) কোরানেরপাতায় পাতায় জন্মান্তরবাদ বা রূপান্তর বাদ রয়েছে তা জেনে নিন ।অবশ্য মোমিন এবং
প্রকৃত মুক্তিপ্রাপ্ত মুসলমানের পুনর্জন্ম নাই,তাঁরা জন্মচক্র হতে মুক্ত । রসূলের শিষ্যবর্গের মধ্যে মোমিনের সংখ্যা ছিল নগন্য, বর্ণচোরা মোনাফিকের সংখ্যা ছিল বেশী । মোমিনগণ চক্ষুষ্মান হওয়া সত্বেও রসুলুল্লাহর নির্দেশক্রমেতা প্রকাশ করেননি ।
সহজ ভাষায় সাধারণভাবে প্রকাশ করলেও পশুপ্রকৃতির মুর্খ আরবগণ যার সংখ্যা ছিল অধিক তারা ধর্ম গ্রহন করত না এবং করলেও আত্মশুদ্ধির ব্যপারে একেবারে শিথিল থাকত । রাষ্ট্রীয় গোলযোগের কারনে খেলাফতকালে এর প্রকাশ হয়নি ।
তারপর যদিও মিসরে ফাতেমী রাজত্বকালে এই মতবাদ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রচলিত হয়েছিল কিন্তু বেশিদিন সেখানে টিকতে পারেনি । প্রায় আড়াই'শ বৎসর ফাতেমীরা রাজত্ব করেন । সুলতান সালাহউদ্দিন সে দেশ জয় করেন এবং এই মতবাদ
পুনরায় সেখান হতে নিশ্চিহ্ন করে দেয়াহয় ।
No comments:
Post a Comment