(১০ই রমজান, হিজরতের তিন বছর আগে) ইন্তিকাল করেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র প্রথম স্ত্রী উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা)।
মানবজাতির মধ্যে চার শ্রেষ্ঠ নারীর মধ্যে অন্যতম হলেন এই মহীয়সী নারী। অন্য তিনজন হলেন নিজ কন্যা হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.) যিনি সব যুগের নারী জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ, হযরত মরিয়ম (সা.), ফেরাউনের স্ত্রী তথা মুসা (আ.)'র মাতৃতুল্য লালনকারী হযরত আসিয়া (সা.)।
উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মুসলমান। (যদিও পুরুষদের মধ্যে প্রায় একই সময়ে আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী-আ. দশ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে তাঁকেও প্রথম মুসলমান ধরা হয়।) বিশ্বনবী (সা.)'র পেছনে সর্বপ্রথম যে দুই জন জামায়াতে নামাজ আদায় করেছেন তারা হলেন উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.)ও বালক আলী(আ.)। খাদিজা (সা.) মহান আল্লাহর এতটা নৈকট্য লাভ করেছিলেন যে যখন হযরত জিবরাইল (আ.) ওহী নিয়ে বিশ্বনবী (সা.)'র কাছে নাজেল হতেন তখন তিনি প্রথমে মহান আল্লাহর সালাম পৌঁছে দিতেন এই মহীয়সী নারীর কাছে।
মহানবী (সা.)'র সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর কাটিয়েছেন মহীয়সী নারী হযরত খাদিজা(সা.)। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন বিশ্বনবী (সা.) অন্য কোনো স্ত্রী গ্রহণ করেননি।
ভেঙ্গে দেওয়ার পূর্বে হযরত খাদিজা (সা. আ.) এর বাড়ী |
রাসূল (সা.)-কে বিয়ের আগেও হযরত খাদিজা(সা.) ছিলেন একত্ববাদী ও হযরত ইব্রাহিম (আ.)'র ধর্মের অনুসারী এবং আরব জাতির মধ্যে সবচেয়ে ধনী মহিলা। হাজার হাজার উট তাঁর মালিকানাধীন বাণিজ্য-সম্ভার দেশ থেকে দেশে বহন করত বলে ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে। বিশ্বনবী (সা.)'র সঙ্গে বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪০ বছর (এ সময় তাঁর বয়স আরো কম ছিল বলে কেউ কেউ মনে করেন, তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই তাঁর ৪০ বছর বয়স্ক হওয়ার মতটি সমর্থন করেন)। বিশ্বনবী (সা.)'র সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর যখন মহান আল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর স্বামীকে নবুওত দান করেন তখন থেকেই উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.) নিজের সব সম্পদ বিশ্বজনীন ধর্ম ইসলামের প্রচার-প্রসার ও নও-মুসলিমদের ভরণ-পোষণের কাজে ব্যয় করতে থাকেন এবং ইসলামের পেছনেই ব্যয় হয়ে যায় তাঁর সমস্ত সম্পদ। ফলে তাঁর ইন্তিকালের পর ইয়াতিম কন্যা ফাতিমা (সা.) একটি মুদ্রা পরিমাণ সম্পদও উত্তরাধিকারসূত্রে (মায়ের কাছ থেকে) লাভ করেননি।
ইসলামের শৈশবে এর শত্রু কাফির-মুশরিকরা যখন মুসলমানদের ওপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ আরোপ করে তখন শো'বে আবু তালিব উপত্যকায় দিনের পর দিন অনাহারে থাকতে হয়েছিল উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.)-কে।
ইসলাম প্রচারের প্রথম দিনগুলোতে যখন রাসূল (সা.)-কে নানাভাবে অপমান ও ঠাট্টা-বিদ্রূপের শিকার হতে হত এবং তাঁর মাথায় ছাই বা পশুর নাড়ীভুঁড়ি চাপানো থেকে শুরু করে দাঁত-মুবারক পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলেছিল শত্রুরা তখন সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী হিসেবে পাশে ছিলেন জীবন-সঙ্গী উম্মুল মু'মিনিন হযরত খাদিজা (সা.)।
উম্মুল মু'মিনিন খাদিজা (সা.)'র পবিত্র স্মৃতি যখনই স্মরণে আসত বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র দু চোখ বেয়ে ঝরে পড়ত অশ্রুধারা। অন্য কোনো স্ত্রীই হযরত খাদিজা (সা.)'র সমকক্ষ নন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। বিশ্বনবী (সা.) খাদিজা (সা.) বান্ধবীদেরকেও শ্রদ্ধা করতেন।
একবার বিশ্বনবী (সা.)’র কোনো এক স্ত্রী নিজেকে হযরত খাদিজা (সা.)’র চেয়ে উত্তম বলে দাবি করলে আল্লাহর রাসূল তাকে তিরস্কার করে বলেন: ‘আল্লাহর কসম, মহান আল্লাহ আমাকে তাঁর চেয়ে কোনো উত্তম স্ত্রী দান করেননি। তিনি আমার প্রতি তখনই ঈমান এনেছিলেন যখন অন্যরা আমাকে বিদ্রূপ করত, তিনি আমাকে তখনই স্বীকৃতি দিয়েছিলেন যখন অন্যরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তিনি তার সম্পদ ব্যয় করেছেন আমার জন্য এবং তাঁর মাধ্যমেই আমি সেইসব সন্তানের অধিকারী হয়েছি যা অন্য কোনো স্ত্রীর মাধ্যমে আমার জন্য নির্ধারিত হয়নি। (বুখারি শরিফ)
বলা হয়ে থাকে বিশ্বনবী (সা.)'র চারিত্রিক সুষমা ও মহানুভবতা, আলী (আ.)'র তরবারি এবং খাদিজা (সা.)'র অঢেল সম্পদ ছাড়া ইসলাম কখনও এতটা বিকশিত হতে পারত না।
যে বছর হযরত খাদিজা (সা.) ইন্তিকাল করেন সেই বছর ইন্তিকাল করেন রাসূল (সা.)'র প্রিয় চাচা ও অভিভাবক হযরত আবু তালিব(রা.)। তাই এ বছরটিকে ইসলামের ইতিহাসে 'আমুল হোজন' বা দুঃখের বছর হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (خديجة بنت خويلد) ইসলাম গ্রহণকারী
প্রথম
ব্যক্তি
এবং
ইসলামের
সর্বেশষ
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রথম স্ত্রী। তার কুনিয়া উম্মু হিন্দ এবং উপাধি তাহিরা। ইসলামের গ্রহণের আগেই পবিত্র চরিত্রের জন্য তাহিরা উপাধি লাভ করেন যার অর্থ পবিত্র। তিনি মক্কার একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী
ছিলেন। ব্যবসার কাজে তিনি মুহাম্মদকে
নিয়োগ
করেন। তখনও মুহাম্মদ নব্যুওয়ত
লাভ
করেন
নি। বিয়ের জন্য তিনিই প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪০ আর মুহাম্মদের
২৫। এর আগেও খাদীজার দুইবার বিয়ে হয়েছিলো, তার ঐ দুই স্বামীই মারা যায়। খাদীজার মৃত্যুর আগে মুহাম্মদ অন্য কোন বিয়ে করেননি। খাদীজার গর্ভে নবীর কন্যা জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা এবং পুত্র কাসিম ও আবদুল্লাহ
জন্ম
নেয়।
খাদিজা হস্তী বর্ষের ১৫ বছর আগে অর্থাৎ নবীর জন্মেরও ১৫ বছর আগে মক্কায় জন্মগ্রহণ
করেন। তার পিতা খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ এবং মাতা ফাতিমা বিনতু যায়িদ। পিতার বংশের উর্ধ্ব পুরুষ কুসাঈ-এর মাধ্যমে মুহাম্মদের
বংশের
সাথে
তার
বংশ
মিলিত
হয়েছে। নবী ও খাদীজার মধ্যে ফুফু-ভাতিজার অনেক দূরের সম্পর্ক ছিল। এজন্যই নবুওয়ত লাভের পর খাদীজা নবীকে তার চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নাওফিলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন,
"আপনার
ভাতিজার
কথা
শুনুন"। ধারণা করা হয় বংশগত সম্পর্কের
ভিত্তিতেই
তিনি
একথা
বলেছিলেন। তার পিতা খুওয়াইলিদ
ইবন
আসাদ ফিজার যুদ্ধে নিজের গোত্রের সেনাপতি ছিলেন। তার অনেক সন্তান ছিল। সন্তানদের
মধ্যে
খাদীজা
ছিলেন
দ্বিতীয়।
খাদিজা বিনতে খোওয়াইলিদ। তিনি আত্মীয়তার দিক থেকে মুহম্মদের দূর সম্পর্কের চাচাত বোন। সেই আমলে যখন নারী জাতির দুর্গতির ও লাঞ্ছনার যেখানে সীমা ছিল না তখন এই সতী-সাধ্বী নারী শূচিতায় ও শুভ্রতায় ছিলেন অনন্যা। এ কারণে অনেকে তাকে তাহেরা নামেও সম্বোধন করত। তার দু‘বার বিবাহ হয়েছিল, কয়েকটি সন্তানও (হারেছ, জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) ছিল। তার স্বামী আবি হালা বা আতিক, কেউ একজন মৃত্যুকালে অগাধ ধন-সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার ঐ স্বামীর বিস্তৃত বাণিজ্যের হাল ধরেন। কর্মচারীর মাধ্যমে তিনি নানা দেশে বাণিজ্য পরিচালনা করতেন এবং নিজেই সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধান করতেন। (বিদ্র: অনেকে অবশ্য একথা বলেন যে খাদিজা অবিবাহিতা ছিলেন এবং তিনি তার পিতৃ ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। আর কন্যা তিনটি (জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) তার অকালে মৃত্যুবরণ করা বোন হালার। অবশ্য সুন্নী মুসলিমদের অধিকাংশেরই বিশ্বাস এরা মুহম্মদেরই সন্তান, শিয়া মুসলিমদের এ ধরণের কোন বিশ্বাস নেই।)
মুহম্মদ যখন ২০ বৎসর বয়সে পদার্পণ করেন, তখন খাদিজার নিকট থেকে তিনি তার সিরিয়াগামী এক বাণিজ্য বহর পরিচালনার দায়িত্বভার পান। আর মুহম্মদ বিজ্ঞতার সঙ্গে ঐ বাণিজ্যকর্ম সম্পাদন করেছিলেন এবং খাদিজাও তার কর্তব্য কর্মে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এই প্রতিক্রিয়া ক্রমশঃ অনুরাগে রূপান্তরিত হয়। তার আগ্রহে এবং মুহম্মদের সম্মতিতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে বিবাহের প্রস্তাব ও আলোচনা হল। মুহম্মদের পক্ষে তার চাচা আবু তালিব এবং খাদিজার পক্ষে তার চাচা আমর বিন আসাদ এই বিবাহে অভিভাবকত্ব করেন।
বিবি খাদিজার পিতা খোওয়াইলিদ ফিজার যুদ্ধের পূর্বেই মারা গিয়েছিলেন। এ কারণে এই বিবাহে তার চাচা আমর বিন আসাদ যথানিয়মে কন্যা সম্প্রদান করেন।
বিবাহের সময় মুহম্মদের বয়স ছিল পঁচিশ ও তার স্ত্রীর চল্লিশ। দু‘জনের মধ্যে বয়সের তারতম্য থাকা সত্ত্বেও একে অন্যের প্রতি তাদের ভালবাসা ছিল প্রগাঢ়। এই বিবাহ মুহম্মদের জন্যে বয়ে এনেছিল শান্তি ও প্রত্যাহিক পরিশ্রম থেকে মুক্তি, যা তার মনকে প্রস্তুত করার জন্যে অপরিহার্য ছিল। এ ছাড়াও তিনি লাভ করেছিলেন এক অনুরক্তা স্ত্রীর হৃদয়, যিনি সর্বপ্রথম তার নব্যুয়তে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। বিবি খাদিজার জীবিত অবস্থায় মুহম্মদ
অন্যকোন পত্নী গ্রহণ করেননি।
শেব গিরিসংকটের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তিলাভের পর ৬২০ খ্রীঃ বিবি খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। গিরি
সংকটের অনাহার বৃদ্ধা খাদিজার শরীর সহ্য করতে পারেনি।
খাদিজার মৃত্যু ছিল মুহম্মদের জন্যে এক দুঃসহ আঘাত। যখন কেউ তাকে বিশ্বাস করত না,
তখন একমাত্র তিনিই তার প্রগাঢ় ভালবাসা ও অবিচল বিশ্বাস নিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তিনি তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে একদা আয়েশাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, 'যখন সকল লোক আমাকে অগ্রাহ্য করেছিল- সেই তখন আমার প্রতি ঈমান এনেছিল। সকলে যখন আমার কথাকে মিথ্যে বলেছিল, সে-ই তখন তার সত্যতা স্বীকার করেছিল। যখন অন্যরা আমাকে বর্জন করেছিল-তখন সে-ই ধর্মকার্যে ব্যয় করার নিমিত্তে তার ধন-ভান্ডার লুটিয়ে দিয়েছিল।’
পুত্রবৃন্দ:
কাসিম ইবন মুহাম্মদ (ইংরেজি: Qasim Ibn Muhammad); (আরবি: قاسم بن محمد) ছিলেন হযরত
মুহাম্মদ
(সা:) এবং খাদিজা
বিনতে
খালিদ এর সন্তান। তিনি তার দ্বিতীয় জন্মদিনের আগে ৬০৫ খ্রিস্টাব্দ মারা যান এবং তিনি সৌদি আরবের মক্কার জান্নাতুল মওলা কবরস্থান সমাহিত আছেন।
হযরত খাদিজা (সা. আ.) এবং তাঁর পাশে তার পুত্র কাসেমের মাজার |
আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (ইংরেজি: Abd-Allah ibn Muhammad); (আরবি: عبدالله بن
محمد)
এছাড়াও তাহির ইবনে মুহাম্মদ (তাহির= ‘বিশুদ্ধ/ পবিত্র’) অথবা তায়িব ইবনে মুহাম্মদ (তায়িব=মিষ্টি) এবং খাদিজা
বিনতে
খালিদ এর সন্তান। কাসিম
ইবন
মুহাম্মদ ছিলেন তার বড় ভাই।
আব্দুল্লাহ ৬১৫ সিইতে শৈশবে মৃত্যুবরণ করেন।
কন্যাবৃন্দ:
রুকাইয়াহ বিনতে মুহাম্মদ (ইংরেজি: Ruqayyah bint Muhammad); (Arabic: رقية بنت النبي محمد) ছিলেন হযরত
মুহাম্মদ
(সা:) এবং খাদিজা
বিনতে
খালিদ এর কন্যা। তিনি "উতবাহ ইবনে আবু লাহাব" এর সাথে বিয়ে করেন কিন্তু তিনি ইসলামে রূপান্তরের পরে তালাকপ্রাপ্ত হন, এরপর তিনি উসমান
ইবনে
আফফানের এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
রুকাইয়াহ্ ইসলামের প্রারম্ভের আগে জন্মগ্রহণ করেন।[১] আবু লাহাব মুহাম্মদের তটস্থ হন এবং তার পুত্রদের তার কন্যাদের সাথে বিবাহ করতে বলেন:
রুকাইয়াহ্ "উথবাহ ইবনে আবু লাহাব"কে এবং "উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মদউথাবাহ বিন আবু লাহাবকে। পরবর্তীতে মুহাম্মদ প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার করতে শুরু করেন কিন্তু আবু লাহাব প্রতিকূল অবস্থান নেন এবং সক্রিয়ভাবে ইসলামের বিরোধিতা করা শুরু করেন।
রুকাইয়াহ্ বিবাহবিচ্ছেদ পর, উসমান বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। তাদের আব্দুল্লাহ নামে একটি পুত্র সন্তান ছিল কিন্তু তিনি মারা যান যখন তিনি খুব ছোট ছিলেন।
তার বিয়ে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিছু সূত্রে তিনি প্রথম উথবাহ ইবনে আবু লাহাবকে বিয়ে করেছিলেন বলে জ্ঞাপিত আছে। মুসলিম ধর্মে রূপান্তর হওয়া উথমান ইবনে আফফান দীর্ঘসময়ে রুকাইয়াহ্ এর জন্য প্রশংসিত ছিলেন এবং তারপর বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন।
উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মদ (ইংরেজি: Umm Kulthum); (আরবি: أم كلثوم) ছিলেন হযরত
মুহাম্মদ
(সা:) এবং তার প্রথম স্ত্রী খাদিজা
বিনতে
খালিদ এর তৃতীয় কন্যা।
তিনি প্রথমে উতাহাব বিন আবু লাহাবকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর পিতা, আবু লাহাব মুহাম্মদ এবং তাঁর অধ্যয়ন করার জন্য উম্মে কুলসুমকে পরিত্যাগ করার উতাবাহকে বাধ্য করেন। তিনি তার প্রথম স্ত্রী রুকাইয়াহ্ মৃত্যুর পর উথমান ইবনে আফফানকে বিয়ে করেছিলেন।
জয়নব বিনতে মুহাম্মদ (ইংরেজি: Zainab bint Muhammad); (আরবি: زينب بنت محمد) ছিলেন হযরত
মুহাম্মদ
(সা:) এবং খাদিজা
বিনতে
খালিদ এর জ্যেষ্ঠ কন্যা। খাদিজার বিবাহের পঞ্চম বছরের সময়ে ৬০০ সিএ এর মধ্যে জন্ম হয়, যখন তিনি ত্রিশ বছরে পদার্পন করেন। তিনি ৮ম হিঃ (৬২৯)
সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।
বোন:
অন্যান্য ভাতৃবৃন্দ:
No comments:
Post a Comment