আল্লামা হিল্লির সময়ের
কথা।
ঘটনা
টা অনেক টা এরকম।
সে সময়ের সুলতান তার প্রিয়তমা স্ত্রী কে খুব ছোট খাট ঝগড়া কে কেন্দ্র করে রাগের মাথায় তালাক দিলেন।।একসাথে তিন তালাক।।
সে সময়ের সুলতান তার প্রিয়তমা স্ত্রী কে খুব ছোট খাট ঝগড়া কে কেন্দ্র করে রাগের মাথায় তালাক দিলেন।।একসাথে তিন তালাক।।
এর
পর সুলতানের অনুশোচনা জাগলো।তিনি চার মাজহাবের সেরা আলেম দের ডাকলেন এবং জিজ্ঞাসা
করলেন,"হে সম্মানিত আলিম গন আমি রাগের বসে তুচ্ছ কারনে আমার
প্রিয়তমা স্ত্রী কে তালাক দিয়েছি।।কিন্তু এখন আমি তাকে আবার ফিরে পেতে চাই,আপনারা
বলুন,তাকে আমি কি করে ফিরিয়ে আনব?"
এদিকে
বিধি রাম।চার মাজহাব অনুযায়ি, একবারে
তিন তালাক দিলেই,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের
ইস্তফা।।এরপর ওই নারী অন্য পুরুষ কে বিয়ে করতে হবে,অতপর
সেই,স্বামী তাকে তালাক দিলে বা মারা গেলেই কেবল নারী তার পুর্বের
স্বামী র সাথে পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।(হিল্লা
প্রথা)
এ
শুনে তো সুলতানের আক্কেল গুরুম।
এবার তিনি বলেন,"ওহে আলেম বৃন্দ তোমরা ছাড়া কি অন্য কোন দল নাই আর?"
এবার তিনি বলেন,"ওহে আলেম বৃন্দ তোমরা ছাড়া কি অন্য কোন দল নাই আর?"
আলেমরা
বলল,"জি হুজুর,আরেক ডা দল আছে,হেগোরে
কয় শিয়া"। কাফের, আলীরে নবী মানে।
সুলতান
খুব উতকন্ঠিত হয়ে বল্লেন,"যাও দ্রুত শিয়া আলেম কে ডেকে আনো"
যথাসময়ে ততকালীন শিয়া বিশ্বের সর্বচ্চ নেতা,মারজা আল্লামা হিল্লি হাজির হলেন।
যথাসময়ে ততকালীন শিয়া বিশ্বের সর্বচ্চ নেতা,মারজা আল্লামা হিল্লি হাজির হলেন।
তিনি
রাজদরবারে ঢুকার সময় জুতা বগলে নিয়ে ঢুকলেন আর সোজা সুলতানের সামনে গিয়ে
দাড়ালেন।।সুলতান কে কোন সম্মান সুচক কুর্নিশ করলেন না।
এই
দেখে চার মাজহাবের আলেম দাত কেলিয়ে হাসতে হাসতে বল্লেন,"ওরে
ব্যাটা হিল্লি!তুই আর মানুষ হইলি না।বলি, সুলতানের সামনে দাড়িয়ে
প্রথমে মাথা নিচু করে সম্মান দেখাতি হয়,তাও শিখনি?"
আল্লামা
হিল্লি বল্লেন,"দেখুন,আপনাদের এবং আমাদের সব
মাজহাব অনুযায়ি একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নিকট মাথা নিচু করে সম্ভ্রম দেখানোর নিয়ম,অন্য
কারো নিকটে নয়।"
এরপর চারমাজহাবের আলেম দের একজন
জিজ্ঞাসা করলেন আল্লামাকে,"তা না হয় বুঝলাম,কিন্তু তুমি জুতোবগলে
নিয়ে ঢুকেছো কেন,বাইরে রেখে আসা টা ভদ্রতা,তা
জান না?"
আল্লামা
বল্লেন,"আমি শুনেছি নবির জমানায় হানাফিরা জুতা চুরি করত"
তখন হানাফি আলেম রেগে গিয়ে বল্লেন,"ইতা তুমি কিতা কও,রাসুলের যুগে হানাফি আসবে কি করে?রাসুলের মৃত্যুর ১০০ বছর পর হানাফি মাজহাব আসছে,মিথ্যা বলার জাইগা পাউ না?"
তখন হানাফি আলেম রেগে গিয়ে বল্লেন,"ইতা তুমি কিতা কও,রাসুলের যুগে হানাফি আসবে কি করে?রাসুলের মৃত্যুর ১০০ বছর পর হানাফি মাজহাব আসছে,মিথ্যা বলার জাইগা পাউ না?"
আল্লামা
মাথা চুলকে বল্লেন,"কি জানি ,
হয়ত মালেকিরাঈ চুরি করত"
তখন মালেকি হুজুর বল্ল,"ওই,মুখ সামলি কথা বুলবে,নবির যুগের ঢের পরে মালেকিরা পৃথিবীতে আসছে।"
হয়ত মালেকিরাঈ চুরি করত"
তখন মালেকি হুজুর বল্ল,"ওই,মুখ সামলি কথা বুলবে,নবির যুগের ঢের পরে মালেকিরা পৃথিবীতে আসছে।"
তখন
আল্লামা বল্লেন,"কি যে হয়েছে,কিছুই ঠিক মত মনে থাকে
না।তাহলে হয়ত হানবালি বা শাফেই রা জুতো চুরি করত"
তখন
চার মাজহাবের এক আলেম বল্লেন,"নেহি!নেহি!নেহি!
নবির জমানার বহু পরে চার মাজহাবের জন্ম,নবির জমানায় চার মাজহাবের কুনু কিছু ছিল না।"
নবির জমানার বহু পরে চার মাজহাবের জন্ম,নবির জমানায় চার মাজহাবের কুনু কিছু ছিল না।"
এইবার আল্লামা হিল্লি
হাসতে হাসতে বল্লেন,
দেখলেন তো সুলতান,নবির
যুগে চার মাজহাব বা চার দল ছিল ন। আর আজকে এরা চাইরটা দল
বানায়ে দম্ভ দেখাচ্ছেন। নবির জমানায় ছিল নবির
ইসলাম, আর নবির ইসলাম নবির
ওফাতের পর থেকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে, শিয়াতুল আলী বা আলীর দল তথা আহলে বায়েত এর মাসুম
এবং এর অনুসারী গন।
নবির (সাঃ) ইসলাম হল,কুরান,সুন্নাহ ও আহলে বায়েত এর পথ।আর সেই ইসলাম থেকে বলছি আসলে আপনার তালাক কার্যকর হয় নি। কারন রাসুল (সাঃ) বলতেন রাগের মাথায় নেয়া কোন সিদ্ধান্তের কোন মুল্য নাই।
নবির (সাঃ) ইসলাম হল,কুরান,সুন্নাহ ও আহলে বায়েত এর পথ।আর সেই ইসলাম থেকে বলছি আসলে আপনার তালাক কার্যকর হয় নি। কারন রাসুল (সাঃ) বলতেন রাগের মাথায় নেয়া কোন সিদ্ধান্তের কোন মুল্য নাই।
উপরের
সত্য কাহিনি টা আমাদের চার মাজহাবের ভাইয়েরা শিয়াদের বিরুদ্ধে মডিফাই করেছেন।।তারা
দেখাতে চান রাসুলের যুগে শিয়া মাজহাব ছিল না।
আসলে
শিয়া মাজহাব ছিল না।বরং নবির সময় ছিল নবির ইসলাম,নবির
পর নবির নির্দেশে বেলায়াত এর ধারা চালান আলি (আ) এবং তার বংশধরগন।তাদের অনুসারিগন
শিয়া'নে আলি নামে পরিচিত।অর্থাৎ রাসুলের ইসলাম ও শিয়া ইসলাম
একই কথা,শুধু ভিন্ন দুটী নাম।
যারা,এই
সত্য কাহিনি শিয়াদের বিরুদ্ধে চালায়(যেমন,জাকির নায়েক,আহমেদ
দিদাত) তাদের কাছে আবেদন আপ নারা আপনাদের কাহিনিটির তথ্যসুত্র দেখাবেন,যেমন
টি শিয়া মসলিম গন এই কাহিনির ক্ষেত্রে দেখান,নতুবা আপনারা
মিথ্যাবাদি দের অন্তরভুক্ত হবেন।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ
দেখান।আমিন
No comments:
Post a Comment