ইসলামি ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হচ্ছে শিমর বিন যিলজাওশান। তার উপনাম আবু সাবেগা, সে ছিল হাওয়াযান উপজাতীয়দের অনুগামী। সে কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বিরূদ্ধে কুফার সেনাবাহিনির প্রধানের দ্বায়িত্বে ছিল।
বংশ:
শিমার বিন যিল জাওশান ছিল যাবাব বিন কালাব গোত্রের বণি আমের বিন সাআসাআ বংশের লোক। আর এ কারণে তাকে আমেরি, যাবাবি এবং কালাবি বংশের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়ে থাকে। (ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮২, তারিখে মাদিনাতুদ দমেস্ক, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা ১৮৬, আকাদুল ফারিদ, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩১৮, ৩২০)
বিভিন্ন অভিধান গ্রন্থে তার নাম “শামের” বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে সে “শিমার” নামে পরিচিত।
প্রকৃতপক্ষে শিমার হচ্ছে একটি ইবরি শব্দ যার যা শামের থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে “কাল্পনিক গল্প বলার স্থান” অন্য অর্থে “রাতে একত্রে বসে গল্প করাকে” বুঝানো হয়েছে। (ওয়াকেআতুত তাফ, পৃষ্ঠা ১২৪)
ইতিহাসে শিমারের জন্ম তারিখ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তার পিতার নাম ছিল শুরাহবিল বিন আওয়ার বিন আমরু। (তাবাকাত, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪৬)
তার যুল জোওশান নামকরণের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যেমন: তার প্রসারিত বুকের অধিকারি হওয়ার কারণে তাকে যুলজোওশান বলা হতো আরেক মতে আরবের প্রথম পুরুষ যে যুদ্ধের সাঁজোয়া পোষাক পরিধানের কারণে তাকে যুলজোওশান বলা হতো এবং অন্যমতে তার নাম ছিল জওশান বিন রাবি। (তারিখে মাদিনাতুদ দামেস্ক, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা তাবাকাত, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪৬, আল কামুসুল মুহিত, অধ্যায় জাশন)
শিমারের ইসলাম গ্রহণ:
শিমার রাসুল (সা.)’এর দাওয়াতে ইসলাম ধর্ম কবুল করেনি বরয় সে মক্কা বিজয়ের পরে বাধ্যে হয়ে ইসলাম ধর্ম কবুল করে। (তারিখে মাদিনাতুদ দামেস্ক, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা ১৮৮, তাবাকাত, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪৭৪৮)
ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিতে শিমারের মা সৎ চরিত্রের নারি ছিল না। কেননা ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার মা ছাগল চরানোর সময় গুনাহে লিপ্ত হয় এবং এর ফলে শিমার জন্মগ্রহণ করে। আর এ কারণেই কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.) তাকে উদ্দেশ্যে করে বলে তুমি হচ্ছো এক রাখাল মেয়ের সন্তান। (আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৬, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮৭)
ইমাম আলি (আ.)’এর যুগে শিমার:
শিমার বিন যুলজওশান ছিল ইমাম আলি (আ.)’এর সেনাবাহিনির একজন সেনা ছিল। সিফফিনের যুদ্ধে সে ইমাম আলি (আ.)’এর পক্ষ থেকে যুদ্ধ করে। যুদ্ধ কালিন সময়ে আদহাম বিন মোহরায বাহেলি’এর তরবারির আঘাতে তার চেহারায় দাগ পড়ে যায়। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৮, ওয়াকেয়াতুস সিফফিন, পৃষ্ঠা ২৬৮)
কিন্তু ইমাম আলি (আ.)’এর মৃত্যুর পরে সে আহলে বাইত (আ.)’এর একজন চরম শত্রুতে পরিণত হয়। রাসুল (সা.)’এর ৫১ বছর বয়সি সাহাবি হুজর বিন উদায়’এর বন্দি হওয়ার পরে সে যিয়াদ বিন আবিহ’এর কাছে হুজর বিন উদায়’এর সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষি দেয় যে, হুজর বিন উদায় মুরতাদ হয়ে গেছে এবং সে শহরের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর শাহাদতের ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট ভুমিকা ছিল। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৬৯, ২৭০)
কুফার দ্বায়িত্বে শিমার:
যখন মুসলিম বিন আকিল কুফাতে বিপ্লব আনায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করে তখন ইবনে যিয়াদ শিমর কে নির্দেশ দেয় সে যেন মুসলিমের আশেপাশের লোকদেরকে সরিয়ে দেয়। সে প্রথমে মুসলিমকে উত্তেজনা সৃষ্টিকারি বলে উল্লেখ করে এবং পরে কুফাবাসিদেরকে শামবাসিদের ভয় দেখায়। (আল কামেল ফি তারিখ, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩০৩১, আল আখবারুত তেওয়াল, পৃষ্ঠা ২৩৮, ২৩৯, ওয়াকেয়াতুত তাফ, পৃষ্ঠা ১২৩, ১২৪)
যখন ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালাতে পৌছান তখন সে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বিরূদ্ধে ইবনে সাআদকে যুদ্ধ করতে উদবুদ্ধ করে। (আল আকদুল ফারিদ, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৫৫, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪১৪, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮২, ওয়াকাতুত তাফ, পৃষ্ঠা ১৮৭, ১৮৮, আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৮)
ইবনে যিয়াদের পত্রবাহি:
৬১ হিজরি ৯ মহরমে শিমার ইবনে যিয়াদের পত্র ও চার হাজার সৈন্য নিয়ে কারবালাতে উমর বিন সাআদের সেনাদলে যোগ দেয় তখন তাকে একটি বড় সেনাদলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। (কিতাবে আল বুরসান ওয়াল উরজান ওয়াল উমইয়ান ওয়াল হুলান, পৃষ্ঠা ১২৯, তাযকেরাতুল খাওয়াস, পৃষ্ঠা ২২৩, ২২৪, কিতাবুল ফুতুহ, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৮৯, ৯০,
তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪১৪, ৪১৫, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮৩)
শিমার ও হজরত আব্বাস (আ.)’এর মা একই গোত্রের হওয়ার কারণে সে জাহেলি যুগের প্রথা অনুযায়ি হজরত আব্বাস (আ.) এবং তাঁর ভাইদের জন্য ইবনে যিয়াদের কাছ থেকে নিরাপত্তা দানের চুক্তিপত্র নিয়ে আসে। কিন্তু হজরত আব্বাস (আ.) তার সে চুক্তিপত্রকে অবজ্ঞা করে এবং ইমাম হুসাইন(আ.)’এর সাথে থাকার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে। (আল কামেল ফিত তারিখ, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৬, আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৯, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮৩, ৪৮৪)
এজিদের বামদিকের সেনাবাহিনির সেনাপতি:
আশুরার দিন শিমার ইবনে সাআদের বামদিকের সেনাপতির দ্বায়িত্বে ছিল। যখন ইমাম হুসাইন (আ.) আহলে বাইত (আ.)’এর তাবুগুলোর চারিপাশে পরিখা খনন করে এবং তাতে জ্বালানী কাঠ দ্বারা আগুল প্রজ্বলিত করে তখন শিমার তাঁকে উদ্দেশ্যে করে অবাঞ্চিত কথার্বাতা বলতে থাকে। (আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৬, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮৭, ওয়াকাআতুত তাফ, পৃষ্ঠা ২০৫)
ইমাম হুসাইন (আ.) যখন কুফাবাসিদেরকে উদ্দেশ্যে করে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন তখন শিমার ইমাম হুসাইন (আ.)’এর কথাকে কেটে দেয়ার চেষ্টা করলে হাবিব ইবনে মযিাহির তাকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়। (কিতাবুল ফুতুহ, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৯৬, ৯৭, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪২৫)
অনুরূপভাবে যোহাইর বিন কাইন যখন কুফাবাসিদের উদ্দেশ্যে করে ইমাম হুসাইন (আ.)কে সাহায্যের জন্য আহাবান জানায় তখন শিমার যোহাইর বিন কাইন’কে উদ্দেশ্যে করে তির নিক্ষেপ করে এং তাকে অবমাননা করে। (ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৮৮, ৪৮৯, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪২৬)
যখন আব্দুল্লাহ বিন উমাইর কালবি’এর স্ত্রী তাঁর শাহাদতের পরে তার শিয়রে বসে ক্রন্দন করছিল তখন শিমার তার গোলাম রুস্তমকে নির্দেশ দেয় যেন যেন সে আব্দুল্লাহ বিন উমাইর কালবি’এর স্ত্রীকে হত্যা করে। (ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯৩)
নাফে বিন হেলালের হত্যাকারি:
যখন শিমারের সাথে নাফে বিন হেলালে জামালি’র কঠিন যুদ্ধ শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে তাঁর দুই বাহু ভেঙ্গে যায় তখন শিমার তাকে বন্দি করে এবং অবশেষে তাঁকে শহিদ করে দেয়। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৪১, ৪৪২)
যখন এজিদি সেনারা ইমাম হুসাইন (আ.)’এর তাবুর দিকে অগ্রসর হয় তখন শিমার বলে যে, ইসাইন (আ.)’এর তাবুতে আগুন লাগিয়ে দাও। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৩৮, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯৩)
আশুরার বিকাল বেলায় শিমার ইমাম হুসাইন (আ.)’এর তাবুতে এবং তাঁর পরিবার পরিজনের তাবুতে হামলা করেতে চায়। কিন্তু ইমাম হুসাইন (আ.) তাকে তাড়িয়ে দেয়। তখন শিমার তার তিরন্দাজদের নির্দেশ দেয় তারা যেন, ইমাম হুসাইন (আ.)কে উদ্দেশ্যে করে তির নিক্ষেপ করে। (আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১১১, ১১২, মাকাতেলুত তালেবিন, পৃষ্ঠা ১১৮, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৫০, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯৯)
ইমাম হুসাইন (আ.)’এর হত্যাকারি:
ইতিহাসে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর পবিত্র দেহ থেকে তাঁর মাথা আলাদাকারি সম্পর্কে একাধিক মতামত বর্ণিত হয়েছে যেমন:
ওয়াকেদি’এর বর্ণনামতে শিমার ইমাম হুসাইন (আ.)’এর মাথাকে তাঁর শরির থেকে আলাদা করে দেয় এবং নিজের ঘোড়া মাধ্যেমে তাঁর শরিরকে পদদলিত করে। (জামহারাতু আনসাবিল আরাব, পৃষ্ঠা ২৮৭, মাকাতেলুত তালেবিন, পৃষ্ঠা ১১৯, তারিখে খালিফা ইবনে খাইয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬)
কিছু রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, সে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বুকে চেপে বসে এবং তার দেহ থেকে মাথাকে কেটে ফেলে। (ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০০, ৫০১, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৫৩, তারিখে ইসলাম, পৃষ্ঠা ১৪, হাওয়াদেস ওয়া ওফায়াত, পৃষ্ঠা ৫৮০, মাকতালুল হুসাইন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪১, ৪২)
ইমাম জয়নুল অবেদিন (আ.)কে শহিদ করার উদ্দেশ্যে শিমার:
ইমাম হুসাইন (আ.)’এর শাহাদত এবং তাবু সমুহে আগুন লাগানোর পরে শিমার ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.)কে হত্যা করতে চায়। কিন্তু হজরত জয়নাব (সা.আ.) তাকে বাধা প্রদান করে। (আল ইরশাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০৩, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৫৩, আল তাবাকাত, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২১২)
কারবালার শহিদদের কাটা মাথার দ্বায়িত্বে শিমার:
৬১ হিজরির ১১ই মহরম ইবনে সাআদ কারবালার ৭২ শহিদদের মাথাকে কেটে শিমার এবং আরো কয়েকজন সেনাপতির তত্তাবধানে কুফাতে ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৫৬, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০৩)
যে সকল গোত্র সমূহ কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বিরূদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তারা ইবনে যিয়াদের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে উক্ত মাথাগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। হাওয়াযান গোত্রটি শিমারের নেতৃত্বে ২০টি মাথা ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে যায়। (আল লাহুফ ফি কাতলিল তাফুফ, পৃষ্ঠা ৬২- ৬৩, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৬৮, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০৪)
উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ এজিদের নির্দেশে উক্ত মাথাগুলোকে শিমার এবং তার সঙ্গি সাথিদের নেতৃত্বে শামে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। (আখবারুত তেওয়াল, পৃষ্ঠা ২৬০, তারিখে তাবারি, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৬০)
ইমাম হুসাইন (আ.)কে হত্যা করার ক্ষেত্রে শিমারের অপব্যাখ্যা:
নবিপুরি শাম থেকে মদিনাতে ফিরে আসার পরে শিমারও কুফাতে ফিরে যায়। রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে সে ইমাম হুসাইন (আ.)কে শহিদ করার পরে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতো এবং ইমাম হুসাইন (আ.)কে শহিদ করার ক্ষেত্রে অপব্যাখ্যা উপস্থাপন করতো। (লেসানুল মিযান, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৫৯- ২৬০, মিযানুল এতেদাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৮০, তারিখে মাদিনাতু দামেস্ক, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা ১৮৯)
মোখতারের বিরূদ্ধে শিমারের অবস্থান:
৬৬ হিজরিতে মোখতারের বিরূদ্ধে যুদ্ধে শিমার অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এক পর্যায়ে সে কুফা থেকে পলায়ণ করে। (তারিখে তাবারি, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৮, ২৯,
ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৫৮- ৫৯)
মোখতার শিমার কে ধরার জন্য তার দাশ যেরবিকে শিমারের দাশের সাথে প্রেরণ করে। কিন্তু পথের মাঝে শিমারের দাশ যেরবিকে হত্যা করে। মোখতারের দাশকে হত্যা করার পরে সে সাতিদমা নামক গ্রামে পলায়ণ করে এবং পরে কালতানিয়া নামক গ্রামে পলায়ণ করে। সেখান থেকে সে মোসআব বিন যুবাইরকে পত্র লিখে সে যেন মোখতারের বিরূদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। অবশেষে মোখতারের বিশেষ সেনা দল শিমারকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে হত্যা করে তার মাথাকে মোখতারের কাছে প্রেরন করে এবং তার শরিরকে সেখানের বন্য কুকুরদের জন্য ফেলে রেখে যায়। (আল আখবারুত তেওয়াল, পৃষ্ঠা ৩০২, ৩০৫, তারিখে তাবারি, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৫২- ৫৩, ইনসাবুল আশরাফ, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৬৫- ৬৬)
অতঃপর মোখতার শিমারের কাটা দেখার পরে তা মোহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে। (আল আখবারুত তেওয়াল, পৃষ্ঠা ৩০৫)